চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাউদ আল নাছের ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (২২ মে) দুপুরে ভুক্তভোগী গৃহকর্মী মনোয়ারা বেগম (৩৬) বাদী হয়ে চেয়ারম্যান সউদ আল নাছের, তার মা লুৎফা বেগমসহ প্রায় তাদের পরিবারের আটজনের নামে হাইমচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এর আগে শুক্রবার (২০ মে) পুলিশের সহায়তায় মনোয়ারা হাইমচর উপজেলায় চিকিৎসা নেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ৮টায় ঈশানবালায় এ ঘটনা ঘটে।
মনোয়ারা হাইমচর উপজেলার ঈশানবালা ইউনিয়নের মিজান হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি ঈশানবালা আশ্রয়ন প্রকল্পের নূরজাহান টিলার ৪৪ নম্বর রুমে থাকেন।
আহত মনোয়ারা বেগম বলেন, ঈশানবালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাউদ আল নাছেরের বাড়িতে আমি গৃহকর্মীর কাজ করতাম। আমি কয়েক মাসের কাজের টাকা পাইতাম। টাকা চাইলে চেয়ারম্যানের মা লুৎফা বেগম আমাকে প্রায়ই চড়-থাপ্পড় দেন। গত বুধবার আমি আবার টাকা চাইতে গেলে চেয়ারম্যানের মা হুমকি-ধমকি দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার আমাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে চেয়ারম্যান সউদ আল নাছের, তার মা লুৎফা বেগম, রিয়াজ, সলেমান, খোকন, স্বপ্না, দেলওয়ার ও তার স্ত্রী নূরজাহান আমাকে মারধর করেন। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
ঈশানবালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাউদ আল নাছের বলেন, মনোয়ারা বেগম আমাদের বাড়িতে ঈদুল ফিতরের আগে কাজ করেছে। এখন কাজ করে না। যখন কাজ করেছে, তখন একদিন মেঝেতে পড়ে গিয়ে আহত হয়। তখন তাকে আমরা চিকিৎসা করিয়েছি। আমাদের পরিবারের কোনো সদস্য তাকে মারধর করেনি। তার কাজের পাওনা টাকা দিয়ে দিয়েছি। নতুন করে বিষয়টি নিয়ে আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যাচার করছে।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।