২৭ অক্টোবর বুধবার ভোরে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ালীর দেওয়ান বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ নিহত মনোয়ারা বেগম (৬৫) এর লাশ থানায় নিয়ে যায়।.
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মরহুম আবুল হাশেমের ছেলে মমিন দেওয়ান ঘুমের মধ্যে মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেই পালিয়ে যায়। ফরিদগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ ঘাতকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে জনতা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ভাটিরগাঁও এলাকা থেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।.
স্থানীয়রা জানায়, এক সন্তানের জনক মমিন ১৭ বছর পূর্বে রুব্বান নামের এক নারীকে হত্যা করেছে। সে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ। সে প্রায়ই পরিবারের লোকদেরকে হত্যা করার কথা বলতো। স্থানীয়রা আরো বলেন, সে বাহিরের সকল মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করত। শুধু ঘরে গিয়ে তার মা এবং পরিবারের লোকদেরকে খুন করেবে বলে হুমকী দিতো। গতরাতেও সে এবং তার মা ছাগলের বাছুরকে দুধ খাইয়েছে। সে মানুষিক রোগী ছিলো, যার কারনে সে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে।.
৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমি জেনেছি সে মানসিক রোগী। পারিবারিকভাবে সে ভালো ছিলো না। আর্থিক সংকটের কারণে বউ চলে যায়, একই কারণে সে হতাশায় ভুগতো। সে খুনের দায়ে অনেকদিন জেলেও খেটেছে।.
ফরিদগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, আমরা শুনামাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ থানায় নিয়ে এসেছি এবং ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক ছেলেকে আটক করা হয়েছে।.