চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সানোয়ারা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গিয়েছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। শনিবার (১ জুলাই) বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
সানোয়ারা বেগম উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের টাওয়ার পাড়া গ্রামের সুজন আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী।স্থানীয়রা জানান, সাত বছর আগে সানোয়ারার সঙ্গে সুজন আলীর বিয়ে হয়। এরপর থেকে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। শনিবার বিকেলে সুজনের পরিবারের লোকজন সানোয়ারাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গলায় দড়ি দিয়েছে বলে হাসপাতালে এনে প্রচারণা চালায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানোয়ারা মারা গেলে মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহতের বোন রহিমা বেগম জানান, সুজনের পূর্বের স্ত্রী ও মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই আগের স্ত্রীকে ঘরে তুলতে আমার বোন সানোয়ারাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সানোয়ারার সাড়ে চার বছরের ছেলে ও আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
দুলর্ভপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শাহজাহান আলী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়রা খান বলেন, বিকেল ৩টার দিকে সানোয়ারা বেগমকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন তিন ব্যক্তি। পরে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা করে দেখি সানোয়ারা আগেই মারা গেছেন। এ কথা তাদের জানালে সঙ্গে সঙ্গে তারা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। আর মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।