বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতিমূলক সভায় এই তথ্য জানানো হয়। উদ্বোধন হবে নদীর দুই পাড়ের মানুষের স্বপ্নের সেতু। শীগ্রই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো শুরু হবে।
আর মাত্র চারদিন পর ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতুর (বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতু) উদ্বোধন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চালু হতে যাচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু। চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
আগামী ১০ অক্টোবর বেলা ১২ টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বন্দর উপজেলায় এই সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সড়ক ও জনপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, উপসচিব মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, ৩য় শীতলক্ষ্যা সেতু প্রকল্পের শোয়েব আহমেদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমুখ।
সভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেন, শীতলক্ষ্যা সেতুর উদ্বোধন আরো আগেই হওয়ার কথা ছিল। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান ওনি ব্যাংককে চিকিৎসাধীন আছেন। সেতুটি যেহেতু ওনার নির্বাচনী এলাকায় রয়েছে। আজকে প্রস্তুতির সব কিছু ফাইনাল হলে ওনাকে জানাবো, ওনি চলে আসবেন। এই সেতু কেবল আমাদের অর্জন নাহ, এটা আমাদের স্বপ্ন। আমরা সবাই মিলেই আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করব।
তিনি আরো বলেন, সামনে আমাদের নির্বাচন। সকল ক্ষমতার উৎস হলো জনগন। যার কাছে আমরা রাজনীতি শিখেছি, তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণের সম্পৃক্ততা। সেদিন জনগণের চাহনি দেখলেই ওনি বুঝতে পারবেন এই এলাকার মানুষ কতটা সন্তুষ্ট।
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সূত্রমতে, ১ হাজার ২৩৪ দশমিক ৫০ মিটার দীর্ঘ ৬ লেন বিশিষ্ট এই সেতুতে স্থানীয় ধীরগতির যান চলাচলের জন্য ২টি লেন রাখা হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ শেষে সেতু খুলে দিতে এখন চলছে এ্যাপ্রোচ সড়ক ও খুঁটিনাটি কাজ। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৬০৮.৫৬ কোটি টাকা।