চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় খাদিজা খাতুন নামের এক গৃহবধূকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘হত্যার’ অভিযোগে স্বামী আলম হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ভোরে পৌর এলাকার কলেজপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত গৃহবধূ খাদিজা খাতুন (২৭) উপজেলার হারদি ইউনিয়নের কৃষি-ক্লাব পাড়ার ভিকু মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী আলম হোসেন (৩০) একই উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের মোনাকষা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে খাদিজা-আলমের বিয়ে হয়। এটা দুজনেরই তৃতীয় বিয়ে। খাদিজা তার স্বামীর সঙ্গে পৌর এলাকার কলেজপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিহত খাদিজার স্বামী তাকে মারপিট করে গলায় ফাঁস দিয়ে জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখেন।
সারারাত মরদেহ পাহারা দিয়ে ভোরে প্রতিবেশীদের জানান তার স্ত্রী ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তারপর নিজেই থানায় উপস্থিত হয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাটি পুলিশকে জানান। তবে নিহতের ভাই আব্দুস সামাদ অভিযোগ করে বলেন, তার বোনকে এর আগেও আলম ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেছিলেন। এমন ঘটনার পরই গত দুমাস কলেজপাড়ার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দুজনে বসবাস করতেন। এবার তার বোনকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। নিহতের মা আশুরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। প্রথম পক্ষের মেয়ের বয়স যখন পাঁচ মাস তখন ডিভোর্স হয়। গত এক বছর আগে আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় খাদিজার। বিয়ের পর থেকে ছোটখাটো বিষয়ে মেয়েকে মারধর করতো আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা। আজ রাতের যেকোনো সময় তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে তারা। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, সকালে আলম নিজেই আমাদেরকে জানান তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাদিজার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা।