নগর সংবাদ।।চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ফসলি জমির মাটি কাটতে বাধা দেওয়ায় সামাউল ইসলাম জুয়েল নামের ভূমি অফিসের এক কর্মচারীকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা ইউনিয়নের গোবিন্দহুদা গ্রামে ফসলি জমিতে এ ঘটনা ঘটে। আহত সামাউল ইসলাম জুয়েল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক। তিনি বর্তমানে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
দামুড়হুদা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা পান্না মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন আগে গোবিন্দহুদা গ্রামে ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান স্থানীয়রা। পরে ইউএনওর নির্দেশে আমি ও আমার অফিসের সহায়ক জুয়েল সেখানে গিয়ে তাদের মাটি কাটতে নিষেধ করি। সোমবার সকালে একই জায়গায় মাটি কাটার খবর শুনে জুয়েলকে পাঠাই। জুয়েল গিয়ে মাটি কাটায় বাধা দিলে ছয়-সাতজন শ্রমিকসহ তুহিন নামের এক যুবক তাকে বেধড়ক মারধর করে। তার মোটরসাইকেলের চাবিও কেড়ে নেয় তারা।
হাসপাতালে ভর্তি সামাউল ইসলাম জুয়েল বলেন, মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায় আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে লাঠি ও হেলমেট দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে শ্রমিকরা। আমি কোনোরকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসি। পরে উপজেলা পরিষদের গেটে পৌঁছালে আবারো আমার ওপর হামলা চালায় তুহিনের ভাই জাহিদুল ইসলাম। আমি দৌড়ে উপজেলা সভা কক্ষে চলা আইনশৃঙ্খলা সভায় ঢুকে পড়ি। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন সহকর্মীরা।
দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, উপজেলা পরিষদের ভেতরে মারধর শুরু করলে চলা আইনশৃঙ্খলা সভায় ঢুকে পড়ে জুয়েল। পরে উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে তুহিন আলী নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ওই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরও আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।