২০১৩-১৪ অর্থ বছরে রাক্ষুসে যমুনার ভাঙ্গনে নদী গর্বে চলে যায় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স সহ সকল সরকারি বে-সরকারি স্থাপনা গুলো। সেই থেকে ভাসমান সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স। উপজেলা পরিষদ ভাসমানের একযুগ পেরিয়ে গেছে, মিনিস্ট্রির একটি ইস্টিমেটেই চৌহালী হবে আধুনিক নগরী। চৌহালী উপজেলায় নিজস্ব ভবনহীন দপ্তরগুলো হচ্ছে – উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স , এলজিইডি ভবন, কৃষি ভবন, কৃষি গুদাম, নির্বাচন দপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা ও মাধ্যমিক শিক্ষা ভবন, প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তর, আইসিটি, যুব উন্নয়ন দপ্তর, মহিলা বিষয়ক দপ্তর, সহকারী কমিশনার ভুমি, হিসাব রক্ষণ দপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর, মৎস্য দপ্তর,খাদ্য গুদাম,পল্লী উন্নায়ন দপ্তর, ডাক বাংলা, ডাক-বিভাগ, পরিসংখ্যান দপ্তর, বনবিভাগ, টিএন্ডটি, সমাজসেবা, থানা কমপ্লেক্স, সাব-রেজিস্টার,মৎস্য দপ্তর ও সমবায় দপ্তর ভাসমানের দীর্ঘ ১ যুগ পেরিয়ে গেছে।
চৌহালীতে সেবারমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের প্রত্যেক দপ্তরগুলো নিজের পায়ে দাড়ালে কাজে আশা মানুষের বাঁচবে সময় কমবে ভোগান্তি। সরকারি সকল স্থাপনাগুলো আছে কাগজ-কলমে, নিজস্ব অবকাঠামো নেই, দাপ্তরিক কাজ নিয়ে বিপাকে স্ব-স্ব দপ্তরগুলো। সকল দপ্তরগুলো দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী ভাবে চলছে চৌহালী সরকারি কলেজে, খাষকাউলিয়া সিদ্দিকীয়া মাদরাসায়, কে আর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং বিভিন্ন ভাড়া বাড়িতে। নিজস্ব ভবন না থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম নিয়ে নানা সংকটে স্ব-স্ব দপ্তর কর্তৃপক্ষ। কলেজ ও মাদরাসা ক্যাম্পাস দখলদারিত্ব নয় দরকার অবমুক্ত তারই আলোকে মিনিস্ট্রির ইস্টিমেট প্রতিবেদন দিয়ে ভাসমান থেকে রক্ষা করে আধুনিক নগরী গড়তে স্ব স্ব কমপ্লেক্স নির্মাণে বর্তমান সরকারের সু-দৃষ্টি ও মিনিস্ট্রির ইস্টিমেট পেরণের আহবান জানান, খাষপুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। উপজেলার খাষপুকুরিয়া ইউনিয়নে কোদালিয়া (মৌজা) গ্রামে উপজেলা পরিষদ এর নিজস্ব জমি একাউর, মাটি ভরাট, সয়েল্ট টেষ্ট, কমপ্লেক্স স্থাপনে ডিজাইন শেষ, মিনিস্ট্রির ইস্টিমেট পেলেই টেন্ডার আহ্বান করা হবে, এতে ভাসমান থেকে রক্ষা পাবে সরকারি দপ্তরগুলো। উপজেলা পরিষদ ভাসমানমুক্ত এবং মানুষের কষ্ট লাগব ও আধুনিক নগরী গড়তে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কার্যক্রম চলমান সরকারের পক্ষ থেকে ইস্টিমেট পেলেই টেন্ডার আহ্বান করা হবে বলে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফজলুর রহমান এ-প্রতিবেদককে জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান জানান- গত ১৭ মার্চ বিভাগীয় কমিশনার নিজে চৌহালী উপজেলায় সরেজমিনে একোইজিশন করা স্থান এবং বিভিন্ন দপ্তরের ডিজাইনের লে-আউট দেখে কিছু নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা মিনিস্ট্রিতে প্রয়োজনীয় (ডকুমেন্টস) কাগজপত্র পাঠিয়েছি। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে নির্মাণে টেন্ডার আহবান প্রক্রিয়াসহ সকল কিছুই সঠিক পথেই হচ্ছে। ### মাহমুদুল হাসান চৌহালী সিরাজগঞ্জ।
