নগর সংবাদ।।সেলিম মাহবুব, ছাতকঃ ছাতকে ছোট বড় সবধরনের যানবাহন ও জনশূণ্য অবস্থায় রয়েছে ছাতক উপজেলা ও পৌর শহরের রাস্তাঘাট। ব্যস্ততম সড়কগুলোও রয়েছে ফাঁকা। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ। উপজেলার প্রবেশদ্বার ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নে রাস্তায় টহল দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে উপজেলা ও পৌর শহরের গোবিন্দগঞ্জ সাদা পুলের মুখ, ট্রাফিক পয়েন্ট, বাগবাড়ী স্কুল পয়েন্ট, গোবিন্দগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, জাউয়া বাজার, পাইগাও পয়েন্ট, কালারুকা পয়েন্ট ও ছাতক সদর ইউনিয়নের আন্দারীগাও পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। রাস্তায় বের হওয়া লোকজন ও যানবাহন আটকে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করছে তারা। সদুত্তর না পেলে যাত্রীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। আর যানবাহনের কাগজপত্র না থাকলে হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে মামলার কাগজ। সকাল থেকে উপজেলা ও পৌর শহরের রাস্তায় রিকশা চলাচল করলেও তা অন্যদিনের থেকে তুলনায় কম। বাস, সিএনজি অটোরিকশা, লেগুনা, পিকআপ ট্রাকসহ সবধরণের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অতি জরুরি প্রয়োজনে কেউ প্রাইভেট গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হলে পড়তে হচ্ছে পুলিশী জেরা ও তল্লাশির মুখে। রিকশা আটকেও যাত্রীদের ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া উপজেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গোবিন্দগঞ্জ সাদা পুলের মুখ , গোবিন্দগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, জাউয়া বাজার, ছাতক সদর ইউনিয়নের আন্দারীগাও পয়েন্ট, নোয়ারাই ইউনিয়নের বিভিন্ন পয়েন্টে চৌকি বসিয়ে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল রোধ করছে পুলিশ। উপজেলা ও পৌর শহরে নিত্যপণ্য, ফার্মেসী ও জরুরি সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবধরণের দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দোকান পাট খোলা কারণে ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা আদায় করেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় যেমন কাছামাল, চাউলের, দোকান, মাছ বাজারসহ দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতাসমাগম খুবই কম।##