নগর সংবাদ।। ছাতক প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতকে হোসাইন আহমদ (১৭) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে আহত করার খবর পাওয়া গেছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউনিয়নের বড় মায়েরকূল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। পরে মুমুর্ষ অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার উদ্ধার করে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হোসাইন বড় মায়েরকূল গ্রামের মৃত সরকুম আলীর ছেলে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় রোববার বিকেলে বড় মায়েরকুল গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে হাসানকে সাথে নিয়ে স্থানীয় মায়েরকুল বাজারে বেড়াতে যায় হোসাইন। এক পর্যায়ে একই গ্রামের আশরাফ আলী ওরফে কানা আশরাফের ছেলে আলী হোসেন ও সুলেমান হোসেনরা এসে বাজারের দক্ষিনের রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে বাড়িতে যায়। সেখানের একটি ঘরে আটকে রেখে অন্যান্য সহযোগিরা মিলে ব্যাপক মারধর করে। এসময় তার গলায় গামছা পেঁছিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এদিকে হোসাইনকে তুলে নেয়ার ঘটনাটি হাসান তার স্বজনদেরকে জানালে তাৎক্ষনিক লোকজন ওই বাড়ি থেকে রক্তাক্ত ও অজ্ঞান অবস্থায় হোসাইনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। আহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, গত ১১ এপ্রিল মাদকসহ থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় আশরাফ আলীর ছেলে সুলেমান। এঘটনায় মামলা করে পুলিশ। স্বাক্ষী ছিলেন আহত হোসাইন আহমদ। দুইদিন কারাভোগের পর জেল থেকে বেরিয়ে আসে সুলেমান। মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় তার উপর ক্ষিপ্ত হয় সে। এর পর থেকে হোসাইন আহমদকে প্রাণে মারার জন্য বিভিন্ন ভাবে উৎপেতে থাকা সুলেমান ও তার সহোদররা। ঘটনার দিন আলী হোসেন ও সুলেমান জোরপূর্বক বাজারের রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে গলায় কাপড় পেঁছিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ক্ষান্ত হয়নি তারা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দু’পায়ের উরুতে কূপিয়ে তাকে মারাত্বক আহত করে। বর্তমানে সে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।এ ব্যাপারে ছাতক থানার (ওসি তদন্ত) ভারপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের দু’পক্ষের মধ্যে মামলা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।