নগর সংবাদ।। ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকে বৃদ্ধ পিতাকে লোহার শিকলে বেধে শারীরীক নির্যাতন করায় কুলাংগার পুত্র সুহেল মিয়া(৩২) পুলিশে সোপর্দ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের রুক্কা গ্রামে। বৃদ্ধ পিতা মমশ্বর আলী (৭৫) কে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুত্র কর্তৃক পিতাকে লোহার শিকলে বেধে নির্যাতনের বিষয়টি ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুত্র সন্তান লাভের আশায় মমশ্বর আলী একে-একে তিনটি বিয়ে করে। এক পর্যায়ে মায়ের কুল আলোকিত করে সুহেল মিয়ার জন্মের মাধ্যমে পিতা মমশ্বর আলীর প্রত্যাশা পূরন হয়। জন্মের পর থেকেই পুত্র সুহেল মিয়াকে কুলে-পিঠে করে অতি আদরে তিলে-তিলে বড় করেন। অতি আদরের ওই পুত্রই একদিন পিতাকে শিকলে বেধে শারীরীক নির্যাতন করে তা কখনো ভাবেননি মমশ্বর আলী। এক পর্যায়ে একে-একে ৩জন স্ত্রীই মারা গেলে মমশ্বর আলীর জীবনে নেমে আসে চরম দূভোর্গ। অতি আদরের পুত্র সুহেল মিয়াই কারনে-অকারনে নানা ভাবে পিতাকে নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনার দিন বৃদ্ধ মমশ্বর আলীকে বেধড়ক মারপিট করে সুহেল মিয়া। শারীরীক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মমশ্বর আলী প্রশ্রাব-পায়খানা করে ফেলে। এতে আরো ক্ষীপ্ত হয়ে লোহার শিকল দিয়ে শক্ত করে তাকে বেধে ঘরের বারান্দায় আটকে রাখে সে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল বৃদ্ধ মমশ্বর আলীকে উদ্ধার করেন ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাকারী কুলাংগার পুত্র সুহেল মিয়াকেও আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। ছাতক থানার এসআই দিপংকর বিশ্বাস ঘটনাস্থল থেকে সুহেল মিয়াকে আটক করেন। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।