নগর সংবাদ।। সেলিম মাহবুব,ছাতকঃ ছাতকস্থ লাফার্জ হোলসিম কর্তৃক অবৈধভাবে খোলাবাজারে ক্রাশিং চুনাপাথর বিক্রির অভিযোগে ছাতক ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের দেয়া এক আবেদনের প্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রনালয়ের একটি তিন সদস্যর তদন্ত টিম সরজমিনে তদন্ত ও বিষয়টির উপর শুনানী করেছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান শিল্প মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব শিবনাথ রায় সহ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিমে ছিলেন বিসিআইসির পরিচালক ও যুগ্ম সচিব বেগম জেসমিন নাহার ও ছাতক সিমেন্ট কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব এএফএম আব্দুল বারি। রোববার সকালে ছাতক সিমেন্ট কারখানা গেষ্ট হাউজে এ সংক্রান্ত শুনানী অনুষ্ঠি হয়। শুনানীতে লাফার্জ হোলসিমের পক্ষে প্ল্যান্ট ম্যানেজার হারপাল সিং, ফাইন্যান্স ম্যানেজার কায়রুল আমিন ও হেড অব অপারেশন অরুন কুমার সাহা অংশ গ্রহন করেন। শুনানীতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে লাফার্জ হোসিমের সিএফও ইকবাল চৌধুরী, লিগ্যাল ডাইরেক্টর মিজানুর রহমান, চীপ কর্পোরেট অ্যাপেয়ার্স অফিসার আসিফ ভূইয়া উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা আসেননি। ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষে শুনানীতে অংশ গ্রহন করেন পরিষদের আহবায়ক, ছাতক লাইষ্টোন ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের প্রেসিডেন্ট, সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিজের পরিচালক ও এফবিসিসিআই’র ভুমি মন্ত্রনালয় কমিটির চেয়ারম্যান আহমদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী, ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব হাজী আবুল হাসান, ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলু মিয়া চৌধুরী, ছাতক লাইষ্টোন ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স গ্রুপের সেক্রেটারী অরুন দাস, লেবার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওয়ারিছ আলী। লাফার্জ হোলসিম কর্তৃক অবৈধভাবে খোলাবাজারে ক্রাসিং চুনাপাথর বিক্রিতে ছাতকের ঐতিহ্যবাহী চুনাপাথর ও পাথর ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টি তুলে ধরে তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষাতকার প্রদান করেন ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, পৌর কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া ও হাজী নাজিমুল হক। এসময় ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন, ছাতক শুল্ক ষ্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, ছাতক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক সমছু মিয়া, চুনাপাথর ব্যবসায়ী হাজী নূরু মিয়া তালুকদার, হাজী আলী আজগর সোহাগসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আহমদ শাখাওয়াত সেলিম চৌধুরী, বলেন, লাফার্জ অবৈধবাবে ক্রাশিং চুনাপাথর বিক্রি করে এখানের আড়াইশ বছরের পুরাতন চুনাপাথর ব্যবসাকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে এ ব্যাপারে লাফার্জে বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হলে এর বিপরীতে লাফার্জ ক্রাশিং চুনা পাথর বিক্রির কোন বৈধ কাগজ-পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। ব্যবসার স্বার্থে বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীও জানান তিনি। তদন্ত শেষে এ সংক্রান্ত বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তদন্ত টিমে থাকা কর্মকর্তাগন। এ পযন্ত কোনধরনের বিশৃঙ্খলা না করার পরামর্শ দেন কর্মকর্তারা।##