নিহত সাদির আহমদ (৩০) উপজেলার বানায়ত গ্রামের মো. মনর আলীর ছেলে। হত্যাকারী নিহতের মামা একই ইউনিয়নের মনছব আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বানায়ত গ্রামে একটি সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হত্যাকারী মনছব আলী ও নিহত ভাগনে সাদির দুই বছর আগের একটি হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন। টাকা-পয়সার মাধ্যমে আপস করার সময় টাকা দেওয়া নিয়ে বৈঠকে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হলে এক পর্যায়ে সাদির বাবার গায়ে লাঠির আঘাত লাগে। এটা দেখে সাদির লাঠি নিয়ে তার মামাকে মারতে যান। তখন তার মামাসহ অন্য আসামিরা সাদিরকে কিলঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করেন।
পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর মামাসহ অন্য আসামিরা পালিয়ে যান।
ছাতক-দোয়ারাবাজার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক বলেন, ঘটনার পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়। আশা করছি, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পারব। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে রাখা আছে।