বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
বিএনপি নেতারা যদি হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢেকে রাখেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কোনো অর্জন দেখতে না পাওয়ারই কথা বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের ওই নেতা।
কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হলেও বিএনপির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, কারণ তারা চায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক, বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে।
প্রকাশ্যে বৈরিতা দেখিয়ে আবার দূতাবাসের দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকাই বিএনপির রাজনীতি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা দুই দেশের মধ্যে গড়ে তুলেছে সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল, ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প। বিএনপি তাদের শাসনামলে দ্বিপক্ষীয় কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে রচনা করেছেন উভয় দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের সফরও পারস্পরিক বন্ধুত্ব এবং উন্নয়নের পথরেখায় সম্ভাবনার নতুন আলো ছড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশ কী পেয়েছে, তা এক কথায় বলেন, বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের বেঁচে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই দিয়েছে ভারত।
বিএনপি নাকি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশের মানুষ জানে বিএনপির বসবাস সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে। বন্ধুকের নলের মুখেইতো বিএনপির জন্ম ৷ আন্দোলনের নামে জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা, পেট্রোল বোমা আর সন্ত্রাস কাদের সৃষ্টি ৷ সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা আর ষড়যন্ত্র এই তিনটি নিয়েই বিএনপির রাজনীতি। বিএনপির টার্গেট লুটপাট আর দুর্নীতি ৷ এ দেশের রাজনীতিতে মামলা-হামলা-ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাস-নৈরাজ্যকে লালন করছে বিএনপি- যা এখনো করছে। জনগণের প্রতি বিএনপির কোনো কমিটমেন্ট নেই আগেও ছিল না এখনো নেই।