জহির মোল্লাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানান, জহির মোল্লার মৃত্যুর বিষয়টি তিতাস থানাকে অবগত করা হয়েছে।
নিহত জহির মোল্লা কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মানিককান্দি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি রাজধানীর শনির আখড়ায় থাকতেন এবং ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
নিহতের ভাগিনা আব্দুল হান্নান জানান, গ্রামের সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। আজ বেলা ৩টার দিকে বাসার সামনে জমি নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সেখানে পুলিশ চলে আসে। পুলিশের সামনেই জহির মোল্লাকে ধরে নিয়ে সাইফুল ইসলাম তার সাঙ্গোপাঙ্গ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরেই তিনি মারা যান।
পরিবারসূত্রে জানা যায়, জহির একজনের কাছ থেকে জমি কিনেছেন। সেই জমি আবার সাবেক মেম্বার সাইফুল ইসলাম বেশি টাকা দিয়ে মালিকের কাছ থেকে জোর করে কিনে নেন। এ নিয়েই মূলত বিরোধ চলে আসছিল।
এ ব্যাপারে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধিন চন্দ্র দাস জানান, দীর্ঘদিন যাবত সাইফুল ইসলামদের সঙ্গে জহিরদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। পরে আজ দুপুরে ঝগড়াঝাটি হচ্ছে- এমন সংবাদে পুলিশ সেখানে যায়। এক পর্যায়ে হঠাৎ সাইফুলের লোকজন জহিরের ওপর হামলা করে বসে।
এই হামলার বিষয়ে পুলিশ আসামিদের ধরতে কাজ করছে বলেও জানান ওসি।