””সম্পা দাস,–সম্পাদক,দৈনিক নগর সংবাদ,নগর সংবাদ ২৪ ডটকম,নগর টিভি,(ভারত) কলকাতা ব্যুরো”
শীতের মরসুমে বিভিন্ন উৎসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বরানগর সিঁথি ময়দানে জমে উঠেছে রাশিয়ান ডায়মন্ড সার্কাস। একে শীতের আমেজ, তার উপর ছোট-বড় মিলিয়ে সব বয়সীদের মনোরঞ্জনের জন্য সার্কাসের জুড়ি নেই। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ডায়মন্ড সার্কাস সেই সংস্কৃতির ধারক-বাহক হিসেবে সিঁথির ময়দান জুড়ে সার্কাসের তাঁবূর মধ্যে ফুটিয়ে তুলছে দৃষ্টিনন্দন খেলা। ১৪ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সার্কাস

দেশ-বিদেশে খেলা দেখিয়ে বেড়ানো সার্কাসের ম্যানেজার মো: শামসেদ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এবারের সার্কাসে ভারত ছাড়াও কেনিয়া, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, বেলারুশ সহ অন্যান্য দেশের পারফর্মাররা খেলা দেখাচ্ছে। সার্কাস মানেই অনেকাংশে জীবনকে বাজি রেখে টেকনিক্যাল দক্ষতায় আনন্দ প্রদানের খেলা, সেজন্য নিরাপত্তার দিকগুলিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

সিঁথির ময়দানে ডায়মন্ড সার্কাস দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। বেলা ১টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টা মিলিয়ে প্রতিদিন শো চলছে। টিকিটের মূল্য ধার্য করা হয়েছে যথাক্রমে ১০০, ২০০ ও ৩০০ টাকা।সার্কাসের ম্যানেজার জানান, পশু-পাখি নিয়ে বিধিনিষেধ জারি থাকার কারণে সেগুলি বাদ দিয়ে অন্যান্য সমস্ত ইভেন্ট চালু রয়েছে।

আলোকসজ্জা, সাউন্ড সিস্টেম এবং আবহ মিলিয়ে এবারের সার্কাসের জেল্লা বেড়েছে বলে তিনি জানান। সেই সাথে তিনি সরকারি সহায়তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, ভারতের বাইরে অন্যান্য দেশে জনপ্রিয় সার্কাসের আয়োজনে সরকারি সুবিধা পাওয়া যায়। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে সার্কাসের আয়োজন ও প্রচার-প্রসারে সরকারি সাহায্যের আবেদন রেখেছেন।

শীতের মরসুমে সার্কাস মানেই কলকাতার বিভিন্ন ময়দানে সার্কাসের তাঁবু দেখতে পাওয়া। তবে সেই সংখ্যা কমে আসছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। মনোরঞ্জনের জন্য জীবনকে বাজি রাখা, সেই সাথে স্টান্ট করে শিল্প প্রদর্শনের পিছনেও অনেক করুণ কাহিনী থাকে।

শিল্পীদের জীবন-জীবিকার সাথে সম্পৃক্ত সার্কাসকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা আশা করেছেন ডায়মন্ড সার্কাসের সমস্ত কুশলী।

২৪শে ডিসেম্বর প্রখ্যাত গায়ক মহম্মদ রফির ১০১ তম জন্মদিন পালন করা হয় সার্কাসের তাঁবুতে। ম্যানেজার মো: শামসেদ-এর প্রিয় গায়কের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। আয়োজনকে ঘিরে কেনিয়া-রাশিয়া-মঙ্গোলিয়ার শিল্পীদের উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়। সার্কাসের মুখ্য আকর্ষণ জোকার সহ অন্যান্যরা বলেন, উৎসবমুখর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে সার্কাসের আগ্রহ দেখে তাঁরা আনন্দিত ও উৎসাহিত।
