আসন্ন পবিত্র ঈদুল-আযহা কে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌর শহরের এমআর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে বসেছে বিশাল পশু কুরবানির হাট। এ হাটে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলেও হাট ইজারাদার ব্যাপক প্রভাবশালী হওয়াই তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি না হলেও। সাংবাদিকদের নজরে পড়ে এতো বড় হাটে কোন সরকারি মেডিকেল ক্যাম্প নেই,নেই কোন অভিজ্ঞ চিকিৎসক হাটের পশু গুলো পরীক্ষা করছেন ডিগ্রি বিহীন ভুয়া চিকিৎসক তাও আবার অর্থের বিনিময়ে। বুধবার(২১ জুন) বিকেলে আক্কেলপুর কলেজ বাজার এমআর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বিশাল এই পশু কুরবানির হাট ঘুরে বিভিন্ন অনিয়ম,অভিযোগসহ সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে ভুয়া চিকিৎসক দ্বারা পশু পরীক্ষার অনিয়মটি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
উল্লেখ থাকে যে, সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতিটি কুরবানির হাটে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ব্যানার লাগিয়ে মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়ে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পশুগুলো পরীক্ষা করার বিধান থাকলেও এ হাটে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ব্যানার লাগানো কোন ক্যাম্প বা অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দেখা না গেলেও সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে হাট ইজারাদারের অনুমতিতে খোলা আকাশের নিচে ব্যানার এবং ক্যাম্প ছাড়াই দুটি চেয়ার একটি টেবিল ও চারটি বাঁশের খুঁটি বসিয়ে অর্থের বিনিময়ে পশু পরীক্ষা করছেন ডিগ্রি বিহীন বেশ কয়েকজন ভুয়া চিকিৎসকরা।
এতে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে দূরদূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এমন অনিয়ম চোখে পড়লে বিষয়টি নিয়ে ভুয়া চিকিৎসকদের প্রধান মাহফুজুর রহমান মাফুনের সাথে কথা বলতেই তিনি ছবি তুলতে বাঁধা দিয়ে তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে না জানানোর জন্য বিশেষ অনুুরোধ জানিয়ে দ্রুত হাট ইজারাদার আক্কেলপুর ৬ নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নব্য আওয়ামী লীগার,প্রশাসনের তালিকাভুক্ত ও জনসাধারণের কাছেও নামধারী শীর্ষ গাঁজা মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ফেরদৌস হোসেন’কে ডেকে আনেন। তিনি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আপনারা কি বাল করতে এসেছেন আমি সাংবাদিকদের গুণতিতে রাখি না,পরে যোগাযোগ করেন খরচাপাতি দেয়া হবে। এখন হাট থেকে আপনারা বাহিরে জান”
তার সাথে কথা বলে হাটটি পরিদর্শন শেষে ভুয়া চিকিৎসক দ্বারা অর্থের বিনিময়ে কুরবানির হাটে পশু পরীক্ষা করানো হচ্ছে এমন বিষয়টি নিয়ে আবারো উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুল ইসলামের মুঠোফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, এটা তারা কখনোই করতে পাড়ে না আমি এখুনি ইউএনও স্যারকে বিষয়টি জানাচ্ছি পাড়লে আপনারাও জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার এর মুঠোফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন,এটা পৌরসভার হাট এই হাটের সকল দায়িত্ব পৌর মেয়রের আপনারা পৌর মেয়র কে বিষয়টি জানান। তিনি আরও বলেন আমি এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতাম যদি এই হাটটি কোন ইউনিয়নের অধীনে পড়তো”তবুও আমি মেয়রের সাথে কথা বলছি বলে বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে কলটি কেঁটে দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ শহীদুল আলম চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে গিয়ে প্রথমে তার মুঠোফোন বন্ধ দেখাই। রিপোর্ট টি লিখার আগ মুহূর্তে আবারো যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন খোলা থাকলেও সাংবাদিকের কলটি তিনি রিসিভ করেননি। আরও অসখ্য অনিয়ম তুলেধরে দ্বিতীয় পর্বে সংবাদ প্রকাশ করা হবে।