রোববার (৫ মার্চ) বিকেলে জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক আতিকুর রহমান তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জয়পুরহাট জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি সদস্য ফিরোজ বান্দরবান থানচি ৩৮ ব্যাটালিয়নের বলিপাড়া ক্যাম্পে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা এলাকার ইদ্রিসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা গ্রামের সুজাউলের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া সুরভীর সঙ্গে বিজিবি সদস্য ফিরোজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছুটিতে এসে যৌতুকের দাবিতে ফিরোজ তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ দিতেন। সুরভী যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ফিরোজ।
সেসময় বিজিবি সদস্য ফিরোজ চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত থাকা অবস্থায় অন্য এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সুরভীর সঙ্গে সংসার করবেন না বলে জানান। এরপরে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে মোবাইলফোন কল করে ও এসএমএসে সুরভীকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করেন ফিরোজ।
মামলার বিবরণে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর সুরভী মানসিক চাপ সইতে না পেরে বাবার বাড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সেই ছবি তুলে ফিরোজকে দেন। ফিরোজ সেই ছবি দেখে বলেন, ‘তোর মতো মেয়ের দরকার নাই। আগে মরে যা, আমি সরকারি চাকরি করি আমার কিছুই হবে না’। এ কথা শোনার পর সুরভী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন। এসময় পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সুরভীর বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট আদালতে মামলা করেন।