সোনারগাঁয়ে শোক দিবসের তোরণে দুর্বৃত্তের হানা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৫ আগষ্ট স্বপরিবারে খুন করেছিল তার নাম খন্দকার মোশতাক। সেই খন্দকার মোশতাকের প্রেতাত্মারা নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের দুইদুইবারের সংসদ সদস্য জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকার ১৫ আগষ্টের শোক দিবসের মেঘনা থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সাঁটানো প্রায় ৩০০ ব্যানার,ফেস্টুন রাতের অন্ধকারে ছিড়ে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার (১২আগস্ট) গভীর রাতে সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সংসদ সদস্যর উদ্যোগে টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কাজ একমাত্র মোস্তাকের বংশধররাই করতে পারে. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবদ্দশায় জেল-জুলুম রাজনীতি ত্যাগ তিতিক্ষা বুদ্ধির মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। তার সহচর মোস্তাক দেশবিরোধী চক্রান্ত করে আমাদের প্রিয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারকে হত্যা করেছিল। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মেঘনা থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির নির্মাণ করা তোরণ নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ব্যানার কেটে ফেলেছে। তোরণের নানা অংশ ক্ষতি করেছে। কাঁচপুর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সামনে নির্মাণকৃত তোরণে এক অংশের ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও নির্মিত একটি তোরণ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। এখনো সেই সব জঘন্য মন মানসিকতার ব্যক্তিরা আমাদের সমাজে আছে ভাবতেই অবাক লাগে কীভাবে এমন নোংরা কাজ করতে পারে তারা,যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে তারা এমন ঘৃণ্য কাজ করতেই পারেনা ’অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান তিনি।