ঢাকা প্রতিনিধি। সরকারের সমালোচনা করলে সেটা সহ্য করার ক্ষমতা তাদের থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, তাদের সফল করার লক্ষ্যে আমরা সমালোচনা করি। কিন্তু সমালোচনা করলে নেতাকর্মীদের অপমান করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেলিমা রহমান বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সমালোচনা করা যেত না। বাক স্বাধীনতা ছিলো না। সমালোচনা করলেই জেল-জুলুম করা হতো। তাদের শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ফেসবুকে লিখলে পুলিশ বাড়িতে এসে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। হামলা-মামলা, গুম-খুন ছিল মুক্তমত দমনের হাতিয়ার। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্যই ছিল মানবাধিকার ফিরে পাওয়া। ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেছে, শহীদ হয়েছে। তাছাড়া এই আন্দোলনে বিএনপির লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ যেন গণতন্ত্র ফিরে পায়। তাই আমাদের প্রায় ৫০০ নেতা-কর্মী জীবন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে থাকার জন্য নির্বাচনের নামে ভোটাধিকার হরণ করেছে উল্লেখ করে সেলিমা রহমান বলেন, ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় গৃহবধূকে রাতের অন্ধকারে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এগুলো ছিল তাদের নিত্যরূপ। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ব্যক্তিত্ব ধরে রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেত্রী। তিনি বলেন, আমরা তাকে সম্মান করি। সারা বিশ্বে তার সম্মানের মাত্রা অনেক উঁচু। ছাত্র-জনতা বিশ্বাস করে তাকে দু:সময়ে চেয়ারে বসিয়েছে। আমরা চাইব তিনি তার সঠিক প্রতিদান দিবেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।