সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। নতুন জেলা প্রশাসক দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।তবে এতে গোয়াইনঘাটের ইউএনও অংশ নেননি; জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সরাসরি নেতৃত্ব দেন অভিযানে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ উদ্দিন অভি’র নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে জাফলং ব্রিজ, চা-বাগান এলাকা, জুমপাড় ও বল্লাঘাট নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ সময় বালু ও পাথরবোঝাই ৮টি ইঞ্জিনচালিত স্টিলের বড় নৌকা, ২টি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা ও ১০টি বারকি নৌকা পিয়াইন নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া অবৈধ উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানে গোয়াইনঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল্লাহ, সংগ্রাম বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার শহিদুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি সদস্য অংশ নেন।
অভিযান প্রসঙ্গে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, জাফলংয়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ২০টি নৌকা ধ্বংসের পাশাপাশি তিনজনকে আটক করে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ইউএনওকে পাশ কাটিয়ে অভিযান চালানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অবস্থান করছিলাম। সে কারণেই একজন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেছেন। এর বাইরে অন্য কিছু নয়।
অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকবে জানিয়ে ইউএনও বলেন, জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে আজ ১ হাজার ৫০০ ঘনফুটসহ এখন পর্যন্ত মোট ২৫ হাজার ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।