গ্রেপ্তার রিয়াজ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বাবুগঞ্জ এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুটার রিয়াজের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় ২২টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে অস্ত্র আইনে ৪টি, মাদক আইনে ৩টি, বিস্ফোরক আইনে ৩টি, চাঁদাবাজির ২টি, ডাকাতির ১টি এবং মারামারির ঘটনায় ৯টি মামলা রয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে জাফলংয়ে বেড়াতে আসেন শুটার রিয়াজ। গাড়িতে তার দুই সন্তান ছিল। র্যাব তাকে ধরার চেষ্টা করলে তিনি গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে অপহরণকারী ভেবে ধাওয়া দিয়ে আটক করে গণপিটুনি দেন। পরে পুলিশ এসে তাদের হেফাজতে নেয়।
এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম আরও বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গোয়াইনঘাট-সারিঘাট সড়কের ৫নং পূর্ব আলীরগাঁও এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৬-১৫১৯) করে দুই শিশুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ভেবে রিয়াজকে ধাওয়া করেন স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে এলাকাবাসীও সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গাড়ি ফেলে শিশুদের নিয়ে পায়ে হেঁটে পালানোর চেষ্টা করেন রিয়াজ।
এলাকাবাসীর ধাওয়ায় শিশু দুটিকে ফেলে রেখে রিয়াজ দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি গাফিলতি ভেবে জনতা পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের গাফিলতির কারণেই অপহরণকারীরা পালাতে সক্ষম হয়েছে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ তাদের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এবং উদ্ধার হওয়া দুই শিশুকে তাৎক্ষণিকভাবে থানায় নেওয়া হয়। উদ্ধার দুই শিশু শুটার রিয়াজের সন্তান। পুলিশ-জনতার ধাওয়া খেয়ে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানান ওসি। স্ত্রী ও মাকে জাফলংয়ে রেখে সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসি তরিকুল বলেন, গ্রেপ্তার রিয়াজকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে ওই থানার পুলিশ সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।