“আমার সামান্য একটু জমি ছিল, এক বছর আগে সেই জমিটা ছেলেকে লিখে দিই। আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হলো এটাই যে আমি ছেলেকে জমি লিখে দিয়েছি। ছেলেকে জমি লিখে দেওয়ায় মেয়ে কথা বলে না। আর ধীরে ধীরে ছেলেও কথা বলা ও আমাকে দেখাশোনা করা বন্ধ করে দেয়। ছেলে ব্র্যাকে চাকরি করে। এখানে আসার পর এখন পর্যন্ত আমার ছেলে-মেয়েরা কোনো খবর নেয়নি। আর মনে হয় না কখনো তারা আমার খোঁজ নিতে আসবে। আর যদি তারা আসেও আমি যাব না। তারা আমাকে যে কষ্ট দিছে সেটা বর্ণনা করা সম্ভব না।” এভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন রংপুরের পীরগাছার বড়দরগাহাট পূর্ব ফকিরা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারুল মমিন। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পঞ্চাশোর্ধ্ব আনোয়ারুলের সম্প্রতি ঠাঁই হয়েছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের নিভৃতপল্লিতে গড়ে ওঠা নিরাপদ বৃদ্ধাশ্রমে। যে স্ত্রী-সন্তানকে সুখে রাখতে নিজের সর্বস্ব দিয়েছেন, তারই যেন আজ আপন বলতে কেউ নেই_