সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম নীলা খাতুন (২২)। তিনি ওই এলাকার শরিফুল ইসলামের মেয়ে। রানা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তিনি শৈলকুপা উপজেলার ভগবাননগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে মোহাম্মদ রানার সঙ্গে ঝিনাইদহ সদরের কোরাপাড়া এলাকার নীলা খাতুনের গোপনে বিয়ে হয়। বিষয়টি জানতে পারে নীলার পরিবার। এরপর থেকে নীলাদের বাড়িতেই থাকতো রানা। তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে বাগবিতণ্ডা হতো। মাঝেমধ্যে রানা অন্য কোথাও গিয়ে থাকতেন। সোমবার নীলার ঘরে দরজা দিয়ে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন রানা। খাবার শেষ করেই স্ত্রী নীলাকে ছুরিকাঘাত করে রানা। দরজা খুলে রানা বেরিয়ে আসলে কিছুক্ষণ পর নীলার স্বজনরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে কান্নারত নীলার মা সাহিরণ বেগম বলেন, রানা সব সময়ই ছুরি নিয়ে ঘুরতেন। মাঝে মাঝে নেশাও করতেন বলে শুনেছি। কিছু হলেই মেয়েকে বলতো তোকে কিন্তু মেরে ফেলবানে। সতিই ও আজকে মেয়েকে মেরে ফেললো।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারজানা ইয়াসমিন জানান, নীলার পিঠে ছুরিকাঘাত রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ফুসফুস ছিদ্র হয়ে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জেরেই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।