হারুন অর রশীদ বলেন, যেকোনো ঘটনা ঘটার পরে ডিবি সব সময় ছায়াতদন্ত করে। রেলে নাশকতা ও দুর্বৃত্তায়নের কারণে শিশুসহ চারটি তাজা প্রাণ চলে যায়। যারা এ কাজটি করেছেন তারা ২৮ তারিখের পর থেকেই নির্বাচনকে ভন্ডুল করার জন্য ও সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্যই এই কাজটি করেছে। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গায় তারা বাসায় আগুন লাগাচ্ছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। নতুন করে তারা এখন ট্রেনে আগুন লাগানো শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন লাগানো রাজনৈতিক কোনো পার্ট না। এটা এক ধরনের দুর্বৃত্তায়ন। যারা ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়েছে তারা ছাড় পাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ডিবি পুলিশ কাজ করছে। অনেকের নাম পেয়েছি, আশা করছি তাদেরকে দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।
ডিবিপ্রধান বলেন, ভাড়াটিয়া হিসেবে হোক আর টাকার লোভে হোক – যারা এই কাজ করছে তারা সেই জায়গা থেকে সরে এসে নাশকতা ও দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন। কোনো বড় ভাইয়ের নির্দেশে এই কাজটি করা মোটেও ঠিক নয়।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফুটেজগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিস্তারিত জানানো হবে।
হারুন আরও বলেন, আমি মনে করি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সামনে হবে। সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। কেউ যদি নাশকতা করে, দুর্বৃত্তায়ন করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, এক দুইটা গাড়িতে আগুন লাগালেই কিংবা ককটেল ফুটালেই যে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে ঠিক নয়। আমরা প্রতিটি জায়গায় কাজ করছি, আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছি, চেকপোস্ট রয়েছে ও টহল কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে।
সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, যারা নাশকতা করতে চায় তাদের নাম নিয়ে আমাদেরকে জানাবেন, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনব।