শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাতে উপজেলার পাকুন্দা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. শামিম হোসেন (৩৫), মো. আরিফুল ইসলাম (২৬), নাহিদুল ইসলাম (৩৩), মো. মিলন (৪৬), মো. রায়হান সরকার মামুন (৩০) এবং মো. নয়ন (২৬)।
তাদের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল ফোন, একটি খেলনা পিস্তল, ডিবি ও ডিএমপি পুলিশের লোগো ছাপানো একটি কটি, এক সেট অকেজো ওয়ারলেস, এক জোড়া পুলিশের হাতকড়া, চাইনিজ কুড়াল, টর্চলাইট ও লাঠিসোটাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতি শেষে পালানোর উদ্দেশ্যে একদল ডাকাত টয়োটা কোম্পানির একটি হাইয়েস গাড়ি নিয়ে পাকুন্দা সেতু এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করছিল। এসময় ডাকাতদের কাছে জিম্মি থাকা এক ব্যক্তি চিৎকার দিলে বিষয়টি টহল পুলিশের নজরে আসে। তখন ডাকাত দল পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ হাইয়েস গাড়িটিসহ তাদের গ্রেফতার করে।
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ডাকাতদল মৃণাল কান্তি রায় নামের এক ব্যক্তিকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের ব্যবহৃত গাড়িতে জোর করে তুলে নেয়। পরে ওই ব্যক্তিকে সোনা চোরাকারবারি আখ্যা দিয়ে তার হাত-পা ও চোখ বেঁধে সঙ্গে থাকা ৯০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে তাকেসহ পালানোর সময় ধরা পড়ে।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়েছে।