রিপোর্টার , কলকাতা থেকে শম্পা দাস ও সমরেশ রায়। ডি এ প্রদান ও ন্যায্য নিয়োগের দাবীতে ধরণা ও অনশন.। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে, এবং হাইকোর্টের নির্দেশে, ধর্মতলা শহীদ মিনারে প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি সংগঠন একত্রিত হয়ে, ডি এ প্রদান ও ন্যায্য নিয়োগের দাবিতে , সাতাশে জানুয়ারী থেকে বিক্ষোভ ও ধরনায় বসেন , .প্রতিদিন এই মঞ্চ থেকে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোক্তা ও কর্মকর্তারা, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, এবং গানের মধ্য দিয়ে ও কবিতার মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকারকে ভৎসনা করতে থাকেন,.… রাজ্য সরকার টাকা নিয়ে খেলা মেলা করে চলেছে,। অথচ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডি এ দিতে পারছেন না,। চাকরি দিতে পারছেন না, ন্যায্য চাকরির আশায় পথে নামছেন,,আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি ও ন্যায্য চাকরি আদায় করে নেব,… যতদিন না এই ন্যায্য দাবী আদায় আমাদের না হচ্ছে ,আমরা যৌথ মঞ্চ এখানে অবস্থান করে যাবো, দেখি কিভাবে আমাদের দমিয়ে রাখতে পারি, এবং তুলে দিতে পারে ,তাই তারা আজ ১০ দিন অবস্থানের সাথে সাথে অনশন করতে শুরু করেছেন এবং এই অনশনের ফলে কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন,। তাহাদেরকে অ্যাম্বুলেন্সে মেডিকেলে নিয়ে যেতে দেখা যায়, তবুও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ঘোষণা ,আমরা পিছুপা হবো না, তাতে যদি আমাদের একটা করে প্রাণ যায় তো যাক, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি করাই-গন্ডায় হিসাব করে নেব, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতদিন চুপ করে থাকেন, আমরাও দেখতে চাই ,তবে এটুকু বোঝা যায় আমাদের এই আন্দোলন দেখে তিনি অনেকটাই বুঝতে পারছেন, আমরা কি করতে পারি, প্রতিদিন প্রায় চার থেকে পাঁচশ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মচারীরা মঞ্চে উপস্থিত হচ্ছেন এবং বেশ কিছু কর্মচারী মঞ্চে অবস্থান করছেন, । সবার কন্ঠেই একটাই সুর ডি এ তোমায় দিতেই হবে, এর সাথে সাথে আগামী কুড়ি ও একুশ ফেব্রুয়ারি লাগাতার কর্ম বিরতি ডাক দিয়েছেন, অর্থাৎ আগামীকাল এই পঞ্চাশটিরও বেশি বিভিন্ন সংগ্রাম কমিটি একত্রিত হয়ে এই কর্মবিরতি পালন করবেন,…….. কয়েকদিনের অবস্থান-বিক্ষোভে এই সিদ্ধান্ত নিলেন, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, যৌথ মঞ্চের তরফ থেকে জানান প্রথমে আমাদের অনেক বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, অবস্থান করতে দেবেন না বলে, কিন্তু বুঝতে পেরেছেন আমরা পিছুপা হবার নয়, আমরা হাইকোর্টের নির্দেশে এই জায়গায় অবস্থান করব। এবং আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে তীর ছুঁড়ে দিয়ে ছিলাম, আর একটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা এই মঞ্চ থেকেই আমরা আমাদের দাবি অধিকার করব। আমাদের এই যৌথ সংগঠন কতটা শক্তিশালী সেটা প্রশাসন এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন , যে আমরা পিছুপা হবার নয়, সামনে পঞ্চায়েত ভোট ভোটকে মাথায় রেখেই আমরা চাইবো মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিবেচনা করুক, আমাদের যে সকল দাবি সেগুলি মিটিয়ে দি.। এবং সঠিক পথে বিভিন্ন দপ্তরে ছেলেমেয়েদের নিয়োগ করুক, ।