বৃহস্পতিবার ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৫:৫৫
শিরোনামঃ
“আমি পদপদবীর জন্য রাজনীতি করি না: ইকবাল” স্বৈরাচারের নির্যাতন উপেক্ষা করে ১৬ বছর রাজপথেই ছিলাম: গিয়াস উদ্দিন ৬৫ তম বর্ষে পদার্পণ করলো- হালদার পাড়ার সাবেকী শ্যামা পুজো ২০২৫ , হালদার পরিবারদের। (এনসিপি) নেতাদের জুলাই জাতীয় সনদে সই করার আহ্বান-অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মুন্সিগঞ্জ সদর থানাধীন বহুতল ভবনে তল্লাশী -১০০ রাউন্ড,শটগান, গুলি ককটেল তৈরি সরঞ্জাম উদ্ধার, ৩ জন গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। সারাদেশে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭৬২ হাসপাতালে ভর্তি ২জনের মৃত্যু। ৭৪ তম বর্ষে, ১১০ ফুটের বৃন্দাবনের চন্দ্রদয়ের মন্দির ঘিরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বন্ধুর ওপর বন্ধুর এ কোন নৃশংসতা,খাবার খাওয়ার পর নির্জন স্থানে নিয়ে ছুরিকাঘাত কলেজছাত্রী তরুণীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ছেলের ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যা  জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি দেখব-উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

ডুমুরিয়ায় ক্রেতারা ছুটছেন দা-বটির দোকানে।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: জুলাই, ১৬, ২০২১, ১:২৭ পূর্বাহ্ণ
  • ৫৮৩ ০৯ বার দেখা হয়েছে

নগর সংবাদ।।প্রতিবেদক অয়ন সরকার, খুলনা জেলা ,ডুমুরিয়ায় ক্রেতারা ছুটছেন দা-বটির দোকানে। আর কিছুদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা। কোরবানির এ ঈদে পশু জবাই করা, চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটার জন্য প্রয়োজন ছুরি-চাকু, চাপাতি, বটি, দাসহ লোহার বিভিন্ন উপকরণ। তাই পশুর হাটগুলোর পাশাপাশি এখন কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জামাদি কিনতে ভিড় করছে।এতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামাররা।যেন দম ফেলারও সময় পাচ্ছেন না তারা, ব্যস্ত লোহার তৈরি ধারালো অস্ত্র মেরামতেও। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অস্থায়ী দোকানে জমে উঠেছে বেচাকেনা। খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া বাজার, চুকনগর বাজার,খর্নিয়া বাজার ,শাহাপুর, বাজার‌সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোর সামনে সাজানো ছুরি-চাপাতি, দা-বটি। ক্রেতারা আসছেন।কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পছন্দসই কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জাম।শুধু যে নতুন দা-বটি কেনার জন্যই লোকজন কামারের দোকানে আসেন তা নয়, জং ধরা পুরোনো দা-বটি শাণ দিতেও আসছে অনেকে।ডু মুরিয়া কামারের দোকানগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে টুংটাং শব্দে মুখর। ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা।ছুরি-চাপাতি, দা-বটি সাজিয়ে রেখেছেন দোকানের সামনে।ঈদের বেচাকেনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুকুমার কর্মকার আমাদের ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি শেখ মাহতাব হোসেন কে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে অর্ডার বেড়েছে।দিনরাত কাজ করছি। সারা বছরই দা-বটি সাপল ও কোদাল তৈরি করি। কিন্তু কোরবানির ঈদে ছুরি-চাকু, চাপাতি চাহিদা বেশি। নতুন বিক্রির পাশাপাশি পুরোনো ছুরি-চাকু শাণ দিচ্ছি।স্প্রিং ও জাহাজের লোহা দিয়ে এসব জিনিসপত্র বানানো। তবে স্প্রিংয়ের দা ও চাপাতির দাম বেশি।এক কেজি ওজনের চাপাতি বিক্রি করছি ৭০০ টাকা, স্প্রিংয়ের চাপাতি দু-তিনশ বেশি নিচ্ছি। ছুরি ৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়, গরু জবাইয়ের বড় ছুরি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং বটি আকারভেদে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা। এছাড়া চাপাতি শাণ দিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ছুরি ও বটি শাণ ৩০ থেকে ১০০ টাকা।উপকরণ লোহা, ইস্পাত ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম একটু বেশি নিতে হচ্ছে। চায়না স্টিলের ছুরি-চাকুর কারণে আমাদের এখন ব্যবসা কমে গেছে।ছোট থেকে কামারের দোকানে থেকে এ কাজ শিখেছি। অন্য কাজ জানি না তাই সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে দোকান চালাচ্ছি।ভাড়া কর্মচারীর বেতন দিয়ে কোনোরকম সংসার চলে। প্রতিবছর কোরবানির ঈদে ব্যবসা ভালো হয়। এটি দিয়ে চলতে হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কর্মকারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, বড় আকারের ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকায়। চাপাতি প্রতিটি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। পশু জবাইয়ের পর চামড়া ও চর্বি ছাড়ানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি যন্ত্র বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৩০ থেকে ১২০ টাকায়।চাকু বিক্রি হচ্ছে সাইজ অনুযায়ী ১৫০-১২০ টাকায়, ভালো বটি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-১০০০, আর একটু নরমাল বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়।চাইনিজ কুড়াল নিজেদের তৈরি ৭০০-৮০০টাকা, আর চায়না থেকে আমদানি করা ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু কামাররা নয় বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ছুরি-চাকু বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। দোকানের সামনে ও ভ্যানে করে বিক্রি করছেন কোরবানির বিভিন্ন ধরনের উপকরণ।খর্নিয়া বাজারে দা-বটি, ছুরি-চাকুর মৌসুমি ব্যবসায়ী নন্দন বলেন, আগে ফলের ব্যবসা করতাম।গত দুদিন ধরে খাটিয়া চাটাই ও ছুরি-চাকু বিক্রি করছে। বিক্রি হচ্ছে। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত বিক্রি করব। গত বছরও এ ব্যবসা করেছি ভালোই লাভ হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell