নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাসের ভাড়া ৫৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৪৫ টাকা, শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া এবং এসি বাসসহ সব রুটে যৌক্তিক ভাড়ার দাবি জানিয়েছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম।
তাদের এই দাবি না মানলে ২৯ অক্টোবর থেকে আন্দোলন শুরু হবে। এরমধ্যে ১৭ নভেম্বর শহরে আধাবেলা হরতালের আহ্বান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে পরিবহন নিয়ে অরাজকতা দীর্ঘদিনের। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিভিন্ন সেক্টরের মতো এই খাতটি ছিল ওসমান পরিবারের চাঁদাবাজির অন্যতম উৎস। ভাড়া বাড়িয়ে জনগণকে দুর্ভোগ তৈরিতে স্থানীয় বিআরটিএ ও প্রশাসন সবসময় তাদের সহায়তা করেছে।
রফিউর রাব্বি আরও বলেন, পরিবহনের মাফিয়া সিন্ডিকেট বছরের পর বছর যাত্রীদের জিম্মি করে রেখেছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে এই অরাজকতা ভয়াবহভাবে বাড়ে। সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান একাই গত ১৫ বছরে পরিবহন খ্যাত থেকে চাঁদাবাজি করেছেন ২৪ হাজার কোটি টাকা। সরকার বদলালেও অরাজকতা দূর হয় নাই। ২০১১ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ২২ টাকা থেকে ৩২ টাকা বৃদ্ধির পর আন্দোলন শুরু হয়।
প্রশাসনের অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দাবি জানিয়ে আসছি নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাসহ সব রুটের ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনার। ছাত্রদের জন্য অর্ধেক ভাড়া কার্যকর করার। জেলা প্রশাসনের সভায় এসব অসঙ্গতি তুলে ধরলেও তা নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় নাই।
বিভিন্ন দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দাবি জানাচ্ছি নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা (লিংক রোড) রুটে বাস ভাড়া ৪৫ টাকা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ থেকে পাগলা-পোস্তগোলা হয়ে ঢাকা, চিটাগাং রোড, সোনারগাঁ পঞ্চমীঘাট, পানাম, তাজমহল রুটের ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে। ছাত্রদের জন্য অর্ধেক ভাড়া কার্যকর করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুটে বিআরটিসি এসি বাসের ভাড়া ৬০ টাকা এবং এই রুটের বেসরকারি সব এসি বাসের ভাড়া ৬৫ টাকা করতে হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে রাব্বী বলেন, অন্যথায় ২৯ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল, লিফলেট বিতরণ, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। দাবি না মানা হলে ১৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরে সকাল ৬টা থেকে দুপুর দুটা পর্যন্ত অর্ধদিবস সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচি পালন করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি নূর উদ্দিন আহমেদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলামসহ অনেকে।