বুধবার ১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বিকাল ৪:০৪
শিরোনামঃ
Logo ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের মূল সহযাত্রী জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি-সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের জোট জুলাই ঐক্যের নেতারা। Logo ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী নিহত Logo যমুনায় ইলেকট্রনিক শর্ট দিয়ে মাছ শিকার করায় চৌহালীতে ৭জেলেকে অর্থদন্ড। Logo নীলফামারী রিপোর্টার্স ক্লাবের সাথে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের শুভেচ্ছা বিনিময় Logo সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম গ্রেফতার Logo নারায়নগন্জ সিদ্ধিরগঞ্জে সিএনএন বাংলা টিভির এমডির গাড়ী থেকে দেশীয় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, আটক-১ Logo বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে, দ্বাদশ তম বর্ষে পদার্পণ করলো, সপ্তকন্যার শুভ বিবাহ । Logo ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে মামলা ও পরোয়ানাভুক্ত আরও ৯৯৬ জন গ্রেফতার Logo ধর্মীয় আয়োজনে বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত Logo নোয়াখালীতে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি পিন্টুর বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

তিন সন্তানের জিম্মায় মাকে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

nagarsangbad24
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর, ১০, ২০২১, ১০:০০ অপরাহ্ণ
  • ১৯২ ০৯ বার দেখা হয়েছে

নগর সংবাদ।।গর্ভধারিণী মা তার সন্তানদের কাছে থাকবেন এটাই জগতের নিয়ম। কিন্তু মাকে ‘বন্দি’ করে নিজের হেফাজতে রাখা বড় ছেলের কাছে তাকে রাখা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন দেশের উচ্চ আদালত। পাশাপাশি তাকে অন্য তিন সন্তানের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মিরপুরে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে বৃদ্ধা মাকে আটকে রাখা ও চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে অন্য তিন সন্তানের জিম্মায় মাকে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

চার সন্তানের মা আছিয়া আক্তার। থাকেন বড় ছেলের কাছে। তবে অন্য সন্তানদের দাবি, বড় ছেলে আটকে রেখেছিলেন তাদের মাকে ও তার সঙ্গে অন্য ভাই-বোনদের দেখা করার সুযোগ দিচ্ছিলেন না বড় ভাই। এরপর ভাইবোনদের করা আবেদন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই মাকে বড় ছেলের কাছে (আছিয়া আক্তার) কেন আটকে রাখা হয়েছে তা জানতে চেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে তাকে সঙ্গে নিয়ে বড় ছেলে রবিউল মোর্শেদ মিলনকে ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে সশরীরে উপস্থিত হয়ে মাকে আটকে রাখার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।

আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পরও গত ২৬ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দিনে বৃদ্ধা মাকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ওই দিন বড় ছেলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুলে রবিউল মোর্শেদ মিলনের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি রাজধানীর মিরপুরের আরামবাগে বড় ছেলের বাসায় গৃহবন্দি বৃদ্ধা আছিয়া আক্তারকে আদালতে উপস্থিত করতে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। পল্লবী থানার ওসিকে গত ২০ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় ওই বৃদ্ধা মাকে আদালতে হাজির করতে বলা হয়। তারপরও তিনি পুলিশকে সহযোগিতা করেননি ও মাকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত হননি।

রায়ের বিষয়টি শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর)। নিশ্চিত করেন রিট আবেদনকারী ভাইবোনদের আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম।

মাকে আটকে রাখার ঘটনায় প্রতিকার ও দেখভালের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে এক ভাই ও দুই বোনের করা রিট আবেদনের জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম (টিপু)। শুনানিতে তাকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার গালিব আমিদ। এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল (এম আর) চৌধুরী। আর বড় ভাইয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পারভেজ হোসেন। এর আগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দিয়েছিলেন।

ব্যারিস্টার তৌফিক ইমাম টিপু বলেন, মিরপুরে এক বৃদ্ধা মাকে গৃহবন্দি করে রাখার অভিযোগে তার তিন ছেলেমেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানি নিয়ে মাকে এককভাবে আটকে রাখা ও অন্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ না দেওয়া এবং কেন অবৈধভাবে আটক রাখা হয়েছে- তা জানতে চেয়ে আটকে রাখা বড় ছেলে ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে বড় ছেলেকে ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় মাকে সঙ্গে নিয়ে সশরীরে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্ধারিত দিনে তিনি মাকে নিয়ে হাজির হননি।

পরে আদালত হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আদেশের কপি পাঠানোর পরে নিয়ম অনুযায়ী সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু মাকে নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়ে আদেশ প্রতিপালন করা হয়নি। অর্থাৎ মাকে নিয়ে বড় ছেলে আদালতে উপস্থিত হননি। এরপর বড় ছেলে রবিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে পল্লবী থানার ওসিকে ২০ অক্টোবর ওই বৃদ্ধা মাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি নিয়ে শুনানি হয়।

মিরপুর আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা আছিয়া আক্তারের চার সন্তান। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জননী। ২০১১ সালের ২৭ মে ছোট ছেলে রাফসান মোর্শেদের বাসা থেকে তার বড় ছেলে মাকে নিজের হেফাজতে নিয়ে যান এবং অন্য সন্তানদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে গৃহবন্দি করে রাখেন।

এরপর থেকে তিন ভাইবোনকে তাদের মায়ের সঙ্গে কোনোভাবেই দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দেখা করার চেষ্টা করলে বাসার গেট থেকে তাদের বের করে দেওয়া হতো। একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে তারা সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং পুলিশের সহায়তায় দুই বছর আগে শুধু দুবার মায়ের সঙ্গে তারা দেখা করেন।

রিট আবেদনকারীরা জানতে পারেন, তাদের বৃদ্ধা মা অত্যন্ত অসুস্থ ও তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে না। তারা বিষয়টি পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন মাতৃস্নেহ বঞ্চিত তিন সন্তান। ওই রিটটি চূড়ান্ত শুনানি করে এ রায় দেন আদালত।

এ বিভাগের আরও খবর...

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  

Archive Calendar

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
© ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | নগর সংবাদ
Design & Developed BY:
ThemesCell