নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী তৈমূর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ করে বলেছেন,উনি শুক্রবার (৭জানুয়ারি) বন্দরে সেলিম ওসমানের জাতীয় পার্টির (জাপা) চারজন চেয়ারম্যানকে নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। এতেই সারা নারায়ণগঞ্জে যে গুঞ্জন ছিল ‘তৈমূর আলম খন্দকার গডফাদার শামীম ওসমানের ক্যান্ডিডেট’ তা প্রমাণ হয়েছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) বন্দরের ২৪ নং ওয়ার্ডের দেউলি চৌরাপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে নেমে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন আইভী।
তিনি বলেন, শামীম ওসমান সেলিম ওসমান দুই ভাইয়ের ক্যান্ডিডেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি জনতার প্রার্থী নন, বিএনপির প্রার্থীও নন।
দলের সমর্থন প্রসঙ্গে আইভী বলেন, আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হল কিনা জানি না। সব নেতাকর্মী আমার সঙ্গে আছে। প্রতিটা ওয়ার্ড লেভেল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা আমার পাশে আছে। একমাত্র তিনি (শামীম ওসমান) বাইরে গিয়ে তার লোকজনকে তৈমূর সাহেবের সঙ্গে দিচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী আরও বলেন, হাই কমান্ড শুক্রবার সব দেখেছেন। এখানে অনুষ্ঠান হয়েছে, পত্রিকায়ও খবর এসেছে। তারা দেখেছেন এবং এ বিষয়ে দেখবেন। আমি নির্বাচন করি জনতার শক্তিতে। জনতাই আমার শক্তি, দল আমার মনোবল। এসব মিলিয়ে আমি নির্বাচন করি। আমি কোন গডফাদারের দিকে তাকিয়ে নির্বাচন করি না। আমি বলেছি শুক্রবার জাপার চেয়ারম্যানরা প্রকাশ্যে নেমেছেন। এতেই প্রমাণ হয় কারা তার (তৈমূর) সঙ্গে আছেন, কারা তাকে সাপোর্ট দিচ্ছেন।
অপরদিকে শনিবার দুপুরে বন্দর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে যত জল্পনা কল্পনাই হোক না কেন, দিন শেষে ভোট শান্তিতেই হয়। আশা করি ১৬ তারিখ এখানে শান্তিপূর্ণ ভোট হবে। মানুষ আমাকে ভোট দেবে এবং আমি জয়ী হব।
নাসিকে দুইবার নির্বাচিত এই সাবেক মেয়র বলেন,’তার (তৈমূর আলম) চারপাশে বিএনপির লোকজন আছে। শুক্রবার জাতীয় পার্টির (জাপা) লোকজনও তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের কথিত গডফাদার শামীম ওসমানের লোকজনরাও তার পাশে আছে। যেহেতু নির্বাচনটা দলীয় প্রতীকে হচ্ছে তাই তিনি (তৈমূর আলম) বিএনপির প্রার্থী হলে ধানের শীষ প্রতীক পেতেন। তিনি যেহেতু ধানের শীষ পাননি, সেহেতু তিনি বিএনপির প্রার্থী নন। তিনি সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের প্রার্থী। ”