নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় বাদী-বিবাদীকে আটকে ১৫ হাজার টাকা ঘুস নেওয়ার অভিযোগ দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ওই দুই কর্মকর্তা ভুক্তভোগীর আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘুসের সেই টাকা ফেরত দিয়ে এসেছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চরপার্বতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল আমিন সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত উভয়পক্ষকে নিষেধাজ্ঞা দিলে গত ১৭ জানুয়ারি থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফরিদ মিয়া সতর্কতার নোটিশ জারি করেন।
এরমধ্যে সোমবার (২২ জানুয়ারি) ওই সম্পত্তিতে কাজ করতে গেলে দুই পক্ষের মারামারির উপক্রম হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে ঘটনাস্থল থেকে বিবাদী খোরশেদ আলমসহ উভয়পক্ষের চারজনকে আটক করেন এসআই আশরাফুল ইসলাম।
আটকরা হলেন বাদী রুহুল আমিনের দুই ছেলে আবুল হাসেম (৪৪) ও আবুল কাশেম (৩৮) এবং বিবাদী খোরশেদ আলম (৫০) ও রিয়াদ হোসেন (২৭)। তাদের মঙ্গলবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়।
সূত্র জানান, থানা থেকে আটক আসামি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে খোরশেদ আলমের আত্মীয় নাইমুল হক ইভানের কাছ থেকে এসআই আশরাফ পাঁচ হাজার এবং এসআই সাজ্জাদ ১০ হাজার টাকা ঘুস নেন। কিন্তু টাকা নিয়েও আসামি ছেড়ে না দিয়ে চালান দেওয়ায় আপত্তি তোলে খোরশেদ আলমের পরিবার।
নাইমুল হক ইভান বলেন, ‘খোরশেদ আলম ও রিয়াদকে ছেড়ে দিতে ওসির কথা বলে আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেন এসআই আশরাফ ও সাজ্জাদ। পরে আমাদের লোককে চালান দেওয়ায় উকিল দিয়ে আদালত থেকে তাদের জামিনে আনি। বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে এসে ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে গেছে পুলিশ।’
এ বিষয়ে জানতে এসআই আশরাফুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি আসামি আটকের বিষয়টি স্বীকার করেন। টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গ তুললে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
অন্যদিকে এসআই সাজ্জাদ হোসেন দাবি করে বলেন, ‘টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। বিষয়টি কেউ প্রমাণ করতে পারলে চাকরি ছেড়ে চলে যাবো।’
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, আসামি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোর্তাহীন বিল্লাহ নগর সংবাদকে বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে কেউ লিখিতভাবে জানাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।