ঢাকা প্রতিনিধি।।
ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে আমুর নামে ১৫টি তার স্ত্রী সাঈদা হকের নামে ১৩টি ও মেয়ে সুমাইয়া হোসেনের নামে ১৫টি হিসাব রয়েছে। এছাড়া তাদের সংশ্লিষ্ট জেরিকো কোম্পানির একটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমুর বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণপূর্বক নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টি আর কাবিখাসহ সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতপূর্বক বিদেশে অর্থ পাচারসহ নিজ নামে এবং পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। বর্তমানে অভিযোগটির অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, আমু ও তার স্ত্রী-মেয়ে পলাতক অবস্থায় তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন এবং স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন।এর আগে গত বছরের ৬ নভেম্বর আমুকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
আমির হোসেন আমু ১৯৪০ সালের ১ জানুয়ারি তদানীন্তন বরিশাল ঝালকাঠি মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন।১৯৯২সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬-০৮ সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা যখন বন্দি ছিলেন তখন যে কয়জন নেতা দলের নেতৃত্বে ছিলেন আমু তাদের মধ্যে একজন।
২০১৩ তিনি ভূমি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।