নগর সংবাদ।।স্ত্রী আর পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে চলছিল সুখের সংসার। ভালোবাসার কমতি ছিল না।
তবুও প্রায়ই দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলতেন তিনি। মাঝে স্ত্রী ও মেয়েকে রেখে চলে যেতে চাইতেন ঘর ছেড়ে। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো।
শেষ পর্যন্ত এই অশান্তির জেরে স্ত্রীর হাতে খুন হতে হলো তাকে। ঘটনাটি বিহারের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সী রাকেশ মোহন্তের। স্ত্রী নিতু দেবীকে নিয়ে গুজরাটের সুরতের পালীগাম গ্রামে থাকতেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে দ্বিতীয় বিয়ের ইচ্ছা পোষণ করেন রাকেশ। স্ত্রী-মেয়েকে জানান, বিহারে ফিরে যেতে চান তিনি। সেখানে গিয়ে আবারও বিয়ে করার চিন্তা করছেন।
এদিকে স্বামীর একই কথা শুনতে শুনতে বিরক্তির শেষ ছিল না নিতুর। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি হলেও আবার তা স্বাভাবিক হয়ে যেত। কিন্তু ওইদিন রাতে মারাত্মক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তিনি।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে নিজেকে সামলাতে পারেননি নিতু। রাকেশ দ্বিতীয় বিয়ের কথা বলতেই তার ওপর হামলা চালান তিনি। স্বামীকে মাটিতে ফেলে তার বুকের ওপর চেপে বসেন। তারপর টিপে ধরেন গলা। একপর্যায়ে রাকেশ নিথর হয়ে পড়লে প্রতিবেশীদের জানান, তার স্বামী জ্ঞান হারিয়েছেন।
এ নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দেয়ে প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে গা ঢাকা দেন নিতু। তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেফতার পুলিশ। উদ্ধার করে রাকেশের মরদেহও।
নিহত রাকেশ দিনমজুরের কাজ করতেন। তার ভাই দশরথ মোহন্ত বৌদির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন।