ধর্ষণের অভিযোগ তোলা নারীকে ৮৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ ট্রাম্পকে
হাকিকুল ইসলাম খোকন,সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮৩.৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নিউইয়র্ক এর ম্যানহাটনের একটি ফেডারেল আদালত। লেখিকা ই জ্যাঁ ক্যারলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে অবমাননাকর মন্তব্য করা এবং তার ধর্ষণ অভিযোগ অস্বীকার করায় শুক্রবার তাকে এই ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারী স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ম্যানহাটান ফেডারেল আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। সাত জন পুরুষ বিচারক ও দু’জন নারী বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত আদালত বেঞ্চ রায় ঘোষণার সময় বলেন, জরিমানার এই অর্থ মামলার বাদি মার্কিন লেখক ও সাংবাদিক ই. জেন ক্যারলকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে। রায় ঘোষণার সময় আদালত ভবনে ছিলেন ট্রাম্প। তবে এজলাসে উপস্থিত ছিলেন না। তবে নিজের দুই আইনজীবীর সঙ্গে এজলাসে হাজির ছিলেন ক্যারল। রায় ঘোষণার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ৭৯ বছর ছুঁইছুঁই ক্যারল বলেন-পৃথিবীতে যেসব নারী আঘাত পেয়ে পড়ে যাওয়ার পর ফের উঠে দাঁড়ায়, এই রায় তাদের সবার জন্য-আর যেসব উৎপীড়ক প্রতিনিয়ত নারীকে অত্যাচার করে, মিশিয়ে ফেলতে চায়, এই রায় তাদের জন্যও। প্রায় কাছাকাছি সময়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিক্ততা প্রকাশ করে এক পোস্টে ৭৭ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন-আমাদের বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং এখন একে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা আমেরিকার সংস্কৃতি নয়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এই মামলাটি হয়েছিল ২০১৯ সালে। ই. জেন ক্যারল নিজেই বাদি হয়ে মামলাটি করেছিলেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের এই মামলাটি হয়েছিল ২০১৯ সালে। ই. জেন ক্যারল নিজেই বাদি হয়ে মামলাটি করেছিলেন। অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের এক বিকেলে ম্যানহাটানের ফ্যাশন হাউস বার্গডর্ফ গুডম্যান নিজের বন্ধুর জন্য পোশাক কিনতে গিয়েছিলেন জেন ক্যারল। পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার সঙ্গে ছিলেন। সে সময় ওই ফ্যাশন হাউসের ড্রেসিং রুমে ক্যারলকে ধর্ষণ করেন ট্রাম্প। ২০১৯ সালের জুনে প্রথম এ অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেন জেন ক্যারল। যথারীতি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন ট্রাম্প। পরে ওই বছরই নভেম্বরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তিনি-যার রায় ঘোষিত হলো আজ শুক্রবার। গত মঙ্গলবার মামলার সর্বশেষ শুনানি ছিল। সেদিন সাক্ষ্য দিতে এসে জেন ক্যারল বলেছিলেন-তিনি নিজের জীবন ফিরে পেতে চান। বছরের পর বছর ধরে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আমি এখানে এসেছি, কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাকে ধর্ষণ করেছেন। আমি যখন এটা নিয়ে লেখালেখি করেছিলাম, তখন তিনি (ট্রাম্প) তা অস্বীকার করেছেন, মিথ্যা বলেছেন,-নিজ সাক্ষ্যে বলেছিলেন ক্যারল।