বাড়ি বাড়ি হালনাগাদ কার্যক্রম উপলক্ষে অনলাইনে নিজের তথ্য নিজেকেই পূরণ করে ভোটার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম। তিনি বলেন, সারাদেশে ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৮ বা তার আগে এবং কোনো কারণে বাদ পড়েছেন তারা নির্ভুল তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে অনলাইন(https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/) আবেদন করতে পারবেন।
এরপর সেই আবেদনের ডাউনলোডকৃত কপি তথ্যসংগ্রহকারীকে দিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট নাগরিকগণকে অনুরোধ করা হয়েছে। ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছবি তুলে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কাজ শুরু হবে, যা চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন ইতিমধ্যে বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হবে। পুরো কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত থাকবে ৬৫ হাজার লোকবল।
তারা ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবেন। এদিকে ২০২২ সালে নেওয়া তিন বছরের তথ্যের শেষ ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে ১৮ লাখের মতো ভোটার আগামী মার্চে যোগ হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এর আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল, ২০১৯-২০২০ ও ২০২২-২০২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি।