“নবীগঞ্জে ছিনতাকারী চক্রের ০৭ ছিনতাইকারী গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত টমটম উদ্ধার এবং শায়েস্তাগঞ্জে পরোয়ানাভূক্ত ০৭ জন আসামী গ্রেফতার”
মেহেদী হাসান তুষারঃ জেলার দক্ষ ও মানবিক পুলিশ সুপার জনাব আক্তার হোসেন, বিপিএম-সেবা মহোদয় অত্র জেলায় যোগদানের পর মহোদয়ের নির্দেশে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়াও সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের নেতৃত্বে জেলায় সংঘটিত সংঘবদ্ধ অপরাধ, খুন, ধর্ষণ, পরোয়ানাভূক্ত সাজাপ্রাপ্ত ও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে জেলা পুলিশ, হবিগঞ্জ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইং ২৩/০২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ নবীগঞ্জে ছিনতাকারী চক্রের ০৭ ছিনতাইকারীকে আটক ও ছিনতাইকৃত টমটম উদ্ধার করে। গত-২৪/১২/২০২৩খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যা ০৭:৩০ ঘটিকার সময় নবীগঞ্জ শহর হতে ০১ জন ছিনতাইকারী যাত্রী সেজে উদ্দেশ্যে প্রণোধিতভাবে একটি টমটম গাড়ী রিজার্ভ নিয়ে যায়। টমটম চালক রতন দাশ(২০) পিতা-প্রতাপ দাশ, গ্রাম-দৌলতপুর, থানা-নবীগঞ্জ, জেলা-হবিগঞ্জ ৮০/-টাকা ভাড়ার বিনিময়ে টমটম নিয়ে যায়।
ছিনতাইকারী চক্রের বাকি সদস্যরা অবস্থান নেয় নবীগঞ্জ থানাধীন এনাতাবাদ গ্রামের ভিতরের একটি রাস্তার নির্জন জায়গায়। টমটম চালককে কৌশলে সেখানে নিয়ে হাত-পা বেঁধে এবং মুখে কস্ট্রেপ বেঁধে টমটম গাড়ী ও চালকের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় রতন দাশ বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানার মামলা নং-০৫, তারিখ-২১/০১/২০২৪খ্রিঃ, ধারা-৩৮২ পেনাল কোড রুজু করেন। পরে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ইং ২৩/০২/২০২৪খ্রিঃ তারিখ সন্ধ্যায় ছিনতাই চক্রের সদস্য আসামী খাইরুল আহমদকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রহস্যের জট খুলতে থাকে। অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে একটি টিম উক্ত আসামীর দেওয়া তথ্য মতে অভিযান পরিচালনা করে একে একে ছিনতাই চক্রের ০৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যে আসামীরা ছিনতাইকৃত টমটমটি মাধবপুর থানা এলাকায় তাদের আরেক সহযোগীর নিকট বিক্রি করে ফেলে। টিম নবীগঞ্জ থানা গ্রেফতারকৃত আসামীকে নিয়া রাতে মাধবপুর থানাধীন ধর্মঘর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে অভিযান করে টমটম গাড়ীটি তাদের সহযোগী ইব্রাহিম খলিল এর হেফাজত হতে উদ্ধার করে। প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে উক্ত চক্রের আরেক সহযোগীকে গ্রেফতার করে চালকের ছিনতাই যাওয়া মোবাইলটিও উদ্ধার করা হয়। আসামীরা সকলেই ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তারা ঘটনার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়াও শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ পরোয়ানাভূক্ত ০৫ (পাঁচ) জন আসামী গ্রেফতার করে।