নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি- নারায়ণগঞ্জ বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের দাপটের প্রভাব ও হুন্কারের শিকার রফিক।এ ছাড়াও শেখ মাসুদ কামালের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগ তুলেছেন ইজারাদার রফিক । রবিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে বিআইডাব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ অফিসে ইজারাদার রফিকুল ইসলাম রফিক নামের এক ব্যক্তি শেখ মাসুদ কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, আমি দীর্ঘ ৬ (ছয়) মাস যাবৎ বিআইডাব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর মোহনা শম্ভুপুরা থেকে কলাগাছিয়া হয়ে লাঙ্গলবন্দ ঘাট পযর্ন্ত স্পর্ট কোটেশনের মাধ্যমে ইজারাটির দ্বায়িত্ব পালন করি। ইজারার দ্বায়িত্ব নেয়ার পর বিআইডাব্লিউটিএ’র সকল শর্ত মেনেই সুনামের সাথে ঘাট পরিচালনা করে আসছি। ১মাস মেয়াদকালের ২৬ নভেম্বর ইজারার মেয়াদ শেষ হয়।
প্রতিবারের মতো এ মাসের পে-অর্ডার জমা দিতে এসে দেখতে পাই আমাকে কোন ধরনের নোটিশ ছাড়াই উক্ত স্হানের ইজারা অন্য আরেকজনের নামে দিয়ে দেয়া হয়েছে। বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের সাথে আমি এ বিষয়ে কথা বললে সে আমাকে তার ক্ষমতার প্রভাবে আমাকে হুন্কার দিয়ে বলেন, আমাকে আর ইজারার অনুমোদন দেয়া যাবে না। কারন জানতে চাইলে সে আমাকে নিদির্ষ্ট কোন কারন জানাননি। উল্লেখ্য ৬ (ছয়) মাস আগে আমি এই ঘাটের ইজারা নেই। তখন কোভিড-১৯ এর জন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে তবুও আমি ইজারার নির্ধারিত টাকা পে-অর্ডার করে বিআইডাব্লিউটিএ’র মনোনায়িত ব্যাংকে জমা দিয়েছি। এসময় রফিক আরো জানান, এ ঘাটে আমি অনেক টাকা ব্যয় করেছি। এখন একটু পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে আর এখনিই তিনি আমার সাথে এই অমানবিকতা করলো। এতোদিন আমি পরিশ্রম করে ঘাটটিতে কাজ করেছি এখন তিনি ঘাটের ইজারা আমাকে না দিয়ে অনৈতিক ভাবে তার একক ক্ষমতার প্রভাবে তার মনোনিত ব্যক্তিকে ইজারা দিয়ে দিয়েছে। ঘাট পরিচালনা করতে আমার যদি কোন ভুল থাকে তাহলে সে আমাকে নোটিশ দিয়ে ইজারা বন্ধ করে দিতো তাতে আমার কোন আপত্তি ছিলো না। কিন্তু সে আমাকে কোন নোটিশ ছাড়া ঘাটের ইজারা থেকে সরিয়ে দিছে। তিনি যে এ ঘাটের ইজারা অন্যজনকে দিবে তাও আমাকে নোটিশ দেয় নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ইজারাদারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা দীর্ঘ দিন ধরে ইজারা সাথে আছি। বিগত দিন গুলোর কার্যক্রম আর বর্তমান সময়ের কার্যক্রম অনেক পার্থক্য। আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ঘাট ইজারা নেই। কিন্ত পে-অর্ডারের টাকা নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দেয়ার পরও বিভিন্ন টেবিলে অতিরিক্ত অর্থ আমাদের ব্যয় করতে হয় যা কিনা বেশির ভাগ সময় পে-অর্ডারের ৩ (তিন) গুন পযর্ন্ত হয়ে থাকে। এতে করে আমরা যারা ইজারাদার রয়েছি তারা বিপদেও সম্মুখীন হয়ে আছি। আগে ঘাট ইজারা নিয়ে আমরা মোটামুটি লাভবান ছিলাম। কিন্তু এখন বিআইডাব্লিউটিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সেন্ডিকেটের যোগসাজসে লাভ তো দুরের কথা যে অর্থ আমরা পে-অর্ডার দিয়ে থাকি সেই টাকা তুলতেই আমাদের হিমশীম খেতে হয়। ঘাট ইজারায় অনিয়ম এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামালের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি নিয়মের বাহিরে কিছু করিনি। আপনারা বেশি কিছু জানতে চাইলে তথ্য আইনে আবেদন করুন। আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, শেখ মাসুদ কামাল নারায়ণগঞ্জ বন্দরে যোগদানের পর হতেই সে সব সময় শেখ পরিবারের লোক বলে প্রভাব খাটিয়ে আসছে। তার সাথে কিছু দুর্নীতিবাজ লোকের সংখ্যতা রয়েছে। নদী বন্দরে দফায় দফায় নৌ দূর্ঘটনা চাঁদাবাজি হলেও সে এ সবের প্রতিকারের ব্যবস্হা না করে কি ভাবে নিজের পকেট ভারী করা যায় সে চিন্তায় মগ্ন। এমন তথ্য ও পাওয়া যায় তার কিছু মদদপুষ্ট নেতা ও গণমাধ্যম কর্মী বাহিনী রয়েছে যারা তার অনিয়ম গুলো ঢাকতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকের মন্তব্য ১ মাস মেয়াদী এই ইজরা পদ্ধতি কতটা বৈধ। বিষয়টি বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করবেন। এটা কি নৌ যানের জন্য কল্যাণকর নাকি নিয়ম দেখিয়ে অনিয়ম করে নৌ যান থেকে বৈধ পন্হায় চাঁদা উত্তোলন।