বিশেষ প্রতিনিধি. সনিয়া নামে এক সুন্দরী নারী একাধিক স্বামী পাল্টানোর পর এবার নয়া কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এ নারীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন বলে প্রায় ডজন ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ। বেশকিছু দিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সনিয়ার অপকর্ম ছাড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এই নারী ফাঁদ চক্রের হোতা সনিয়া নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও মোগরাপাড়া ইউপির ছোট সাদিপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর কন্যা। সনিয়া, এসব কর্মকান্ডকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে বলে ছোট সাদিপুর গ্রামবাসী জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী জানান, সনিয়া, একজন সুন্দরী নারী। এটা পুজি করে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে টার্গেট ব্যক্তিদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন।
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে সুযোগ বুঝে ছবি, অডিও-ভিডিও ধারণ করে। এর পর সনিয়া ভয়ংকর রূপে অর্থ হাতিয়ে নিতে ভয়ভীতি, হুমকি দমকি। পারিবারিক ভাবে অশান্তি সৃষ্টি করে থাকে। মানসম্মত লোকলজ্জায় নিরুপায় হয়ে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিময়ে রফাদফা করতে বাধ্য হয়েছে। প্রবাসী এক ভুক্তভোগী জানান, প্রবাসী থাকাবস্থায় ফেসবুকে পরিচয়। তার পর সনিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সনিয়াকে বিয়ে করবো বলে ছুটিতে দেশে চলে এসেছি। পরবর্তীতে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি। সনিয়া এ পর্যন্ত ৫/৬ টি বিয়ে হয়েছে। এবং নানা কেলেংকারী প্রমাণ পাওয়ায় ছিটকে পড়েছি। এতে সনিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে কৌশলে আমাকে তার কাছে ব্ল্যাকমেলিং করে দুই লাখ টাকা আদায় করে নেয় সনিয়া। মানুষের দুর্বলতাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সনিয়া একা নয়, তার পেছনে একটি চক্র রয়েছে। তারা সনিয়ার পক্ষে সবকিছু ম্যানেজ করেন। তবে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা রহস্য জনক। সনিয়ার কার্যক্রমে গোয়েন্দা নজরদারি থাকলে সে ধরা পড়বেই। আইনী সহায়তা নেওয়ার প্রস্তুতি নিবেন বলে জানিয়েছেন একাধিক ভুক্তভোগী। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, সনিয়ার অপকর্মের ঘটনায় যদি কেউ প্রমাণ সহ অভিযোগ করেন। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন নারী এ ধরনের ব্ল্যাকমেইল গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। এ বিষয়ে সনিয়ার সঙ্গে মেসেঞ্জারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।