নগর সংবাদ।। বিএনপি জামায়াত কর্মী বানিয়ে অর্থ আদায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার আলোচিত সেই এসআই সাইফুল আলম পাটোয়ারী ভুক্তভোগীদের রোষানলে সংবাদ প্রকাশে এক সাংবাদিককে হুমকি দমকি। এ ঘটনায় ওই দারোগা বিরুদ্ধে পুলিশ মহা পরিদর্শক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক এসএম শাহীন আহম্মেদ। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, দুইবছরের অধিক সময় বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার দায়িত্বে থাকাবস্থায় এসআই সাইফুল আলম পাটোয়ারী বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন ও নাসিক ৯ টি ওয়ার্ড এলাকায় গড়ে তুলেছে একক আদিপত্য। বিএনপি জামায়াত নিধনে বেপরোয়া উঠেছিল তিনি।
সাধারণ মানুষ সহ বিএনপি জামায়াত কর্মী বানিয়ে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে থানা হাজতে আটক রেখে নানা নির্যাতনের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছিলেন লক্ষলক্ষ টাকা। এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সাংবাদিক কল্যাণ সমিতি এবং বন্দর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম শাহীন আহম্মেদ। তার পর ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই সাইফুল আলম পাটোয়ারী ২০২৩ সালে সাংবাদিক শাহীনের বড় দুই ভাই ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস সোহেল ও নাসিরুদ্দিন জুয়েলকে বিএনপি জামায়াত কর্মী বানিয়ে মামলা দিয়ে জুয়েলকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। গ্রেপ্তারকৃত দুইজনকে রিমান্ড বাবদ ও মামলা থেকে দুই ভাইকে অব্যহতি দিতে দুই দফায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এসআই সাইফুল আলম পাটোয়ারী । গত ৫ আগস্টের পর নানা বিতর্কের কারণে প্রশাসনিক ভাবে বন্দর থানা থেকে অন্যত্রে বদলি করা হয়। গত ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ রাতে এসআই সাইফুল আলম পাটোয়ারী বন্দর থানার সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় অর্ধশত ভুক্তভোগী থানার সামনে এসে দারোগাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়। এসংক্রান্তে গনমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদটি সাংবাদিক এসএম শাহীনের ফেসবুক একাউন্ট থেকে শেয়ার করায় সাংবাদিক শাহীনকে নানা ভাবে হুমকি দমকি প্রদান করে আসছে এসআই সাইফুল আলম পাটোয়ারী। নিরুপায় হয়ে সাংবাদিক শাহীন বাদী হয়ে এসআই সাইফুল আলম পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে পুলিশ মহা পরিদর্শক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যপারে এসআই সাইফুল আলম বলেন, বন্দর থানায় ওসি আবু বকর থাকাকালিন সময়ে সাংবাদিক শাহীনের বড় দুই ভাইকে জামায়াত বিএনপির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এসব কারণে তার সঙ্গে ভূলবুঝাবুঝি হয়েছে