বন্দর রুপালীতে সন্ত্রাসীদের হাতে বাতেন নামে যুবক গুরুত্বর আহত ট্যাবলেট খোর ছিঁচকে সন্ত্রাসী নিরব বাহিনীর তান্ডবে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ
স্টাফ রিপোর্টারঃ বন্দর উপজেলা, সালেহ নগর নতুন মসজিদ এলাকার আবদুল মতিন মিয়ার ছেলে আবদুল বাতেনের উপর গতকাল ১৮ অক্টোবর বুধবার দুপুরে রুপালী আবাসিক এলাকায় হানিফ মিয়ার দোকানের পিছনে স্থানীয় ছিঁচকে সন্ত্রাসীরা হামলা করে পালিয়ে যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় স্থানীয় ছিঁচকে সন্ত্রাসী নিরব (২৫), মাতা: নারগিস শুভ (২৮), মাতা: শাহিদা, মো আলম (২৫), পিতা: মৃত মোঃ মাবু, পিয়েল (২৫), পিতা: মোঃ এবাদুল্লাহ, জানা যায় যে প্রত্যেকের বাড়ী সালেহ নগর, নতুন মসজিদ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত তারা সংঘবদ্ধ হয়ে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে চাঁদা আদায় ও রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আর্সছে। এবিষয়ে আহত বাতেনের মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করে বলেন আমার ছেলে হানিফের দোকানের পিছনে বসে থাকা অবস্থায় শুভ দেশীয় পিস্তল দিয়ে আমার ছেলের মাথায় ধরে আমার ছেলেকে রূপালিতে না আসার হুমকি প্রদান করে। ১নং বিবাদী নিরব আমার ছেলেকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বগি দিয়ে আমার ছেলের গলায় আঘাত করার চেষ্টা করে আঘাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করলে ঐ আঘাত আমার ছেলের বাম হাতে লেগে আঙ্গুলের রগ কেটে রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম হয়। ২নং বিবাদী শুভ হত্যা করার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের বাম হাতে বগি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। ৩নং বিবাদী আলম আমার ছেলের বা পায়ে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। আমার ছেলে রক্তাক্ত আহত অবস্থায় নিজেকে বিবাদীদের আঘাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে ৪নং বিবাদী পিয়াল আমার ছেলের পেটে লাথি দিয়ে মাটিতে ফেলে গলায় পা রেখে চাপদিয়ে শ্বাসরোধ করে। বিবাদীগণ আমার ছেলেকে মাটিতে ফেলে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করে। আমার ছেলে আহত থাকাবস্থায় বিবাদীগণ আমার ছেলের গলায় থাকা স্বর্ণের ৮ আনা ওজনের গলার চেইন, ১টি এন্ডোয়েড মোবাইল Realme, রিয়েলমি এবং মানিব্যাগে থাকা নগদ ১৪,৮৭৫/- টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ৪নং বিবাদী আমার ছেলের পেটে এলোপাথাড়ি ভাবে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে আমার ছেলের ডাক চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ আমার ছেলেকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আহত রক্তাক্ত অবস্থান এলাকার লোকজন আমার ছেলেকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স নিয়ে যায়, সেখানে থাকা কর্মরত ডাক্তার আমার ছেলের গুরুত্বর অবস্থা দেখে, আমার ছেলেকে খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাতপাতাল নারায়ণগঞ্জে সু-চিকিৎসার জন্য প্রদান করে। বিবাদীগন যেকোন সময় আমার ছেলে নানা প্রকার ক্ষতিসাধন সহ প্রাণে মেরে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। এবিষয়ে জানতে বন্দর থানা ভারপ্রাপ্ত ওসি আবু বক্কর সিদ্দিকে কল দিলে তিনি বলেন ঘটনা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্তা নিবো।