নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সন্ত্রাসী হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক মেম্বার দৌলত হোসেন খুন হয়েছেন। তিনি জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহ সভাপতি ছিলেন।
রোববার (২৬ জুন) রাত ১০টায় নারায়ণগঞ্জের গোগনগর ব্রিজের সামনে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে দৌলত মেম্বারকে রাজধানীর আজগর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত ১১টায় তার মৃত্যু ঘটে।
নিহত দৌলত মেম্বার গোগনগরও সৈয়দপুর এলাকার ত্রাস একাধিক হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা, মুন্সিগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সাইদুজ্জামান জানান, এলাকায় উত্তেজনা নিরূপণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি এলাকার একাধিক সম্পত্তি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে। এক পক্ষে ছিল রবিন ও অপর পক্ষে ছিল লুৎফর রহমান। ওই সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিত একাধিকজন হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এর মধ্যে রবিনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় দৌলত মেম্বার ও তার লোকজন। এ নিয়ে এলাকাতে উত্তেজনা ছিল।
আর ২৬ জুন রাতে এ নিয়ে গোগনগর ব্রিজের সামনে দৌলত মেম্বারকে গতিরোধ করে কয়েকজন সন্ত্রাসী। পরে তারা দৌলত মেম্বারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তাকে দ্রুত ঢাকায় আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান
আর ২০১৬ সালে চর সৈয়দপুরে একটি পরিবহন কোম্পানির অফিসে সিমেন্ট কারখানার শ্রমিক জসিমউদ্দিন চৌধুরী হত্যার কিলিং মিশনে ৫ জন ছিল বলে জানিয়েছেন অংশ নেওয়া একজন ঘাতক আমিনুল হক (৫৫)।
আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই ঘাতক জানান, মূলত সিমেন্ট কারখানার শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে বিরোধের জের ধরেই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আমিনুল হক জবানবন্দিতে আদালতকে জানিয়েছেন, মেট্রো সিমেন্টের লেবার কন্ট্রাক নিয়ে দৌলত মেম্বার বাহিনীর সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জেরে জসিমকে একটি কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে আমিনুল হকসহ ৫ জন মিলে দৌলতের অফসের ২য় তলায় নিয়ে জবাই করে হত্যা করে।