নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গৃহবধূ মিতু বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা-৩ আসামীকে ১ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে
( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে গৃহবধূ মিতু হত্যা মামলার ৩ আসামীকে ১ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেছে বন্দর থানা পুলিশ। ১১ই আগস্ট বুধবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে ফের আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নিদের্শ দেন। এর আগে গত ১০ই আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে মিতু হত্যা মামলার আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত থেকে রিমান্ডে আনে পুলিশ।
রিমান্ড প্রাপ্তরা হলো : নবীগঞ্জ এলাকার নিজ বাড়ি হতে মৃত হাজী ফজল করিমের ছেলে ওয়াশিম (৩৫), চৌরাপাড়া এলাকার মহারাজ মিয়ার ছেলে রাজিব (৩৫), তিনগাঁ এলাকার আওলাদ মিয়ার ছেলে আরিফ (৪০)। নিহত গৃহবধূ মিতু মুন্সিগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া থানার নয়াগাও এলাকার সিরাজুল হাওলাদারের মেয়ে। মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানার এসআই আবুল খায়ের তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মিতু হত্যা মামলার আসামীদের নিবির ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। হত্যার পর লাশ গুম করার উদ্দেশ্য যেভাবে পরিত্যক্ত জলাশয়ে নিক্ষেপ করা হয় তা নিয়ে মুখ খুলেছে ৩দিনের রিমান্ডে থাকা আবুল হোসেন ।
প্রসঙ্গত, গত ১২ই জুলাই রাতে বন্দরের আমিন আবাসিক এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধূ মিতু বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারেই স্বামী রবিনসহ ভাড়াটে খুনি আরিফ, ওয়াশিম, আবুল হোসেন ও রাজিব। হত্যাকান্ডের ঘটনার ৩ দিন পর পুলিশ এলাকাবাসী দেখানো মতে পুলিশ নবীগঞ্জ বাগবাড়িস্থ একটি পরিত্যাগ ডোবা থেকে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানা হত্যা মামলা রুজু হলে ১৬ তারিখ সকালেই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবুল খায়ের এর নেতৃত্বে নবীগঞ্জ এলাকার নিজ বাড়ি হতে মৃত হাজী ফজল করিমের ছেলে ওয়াশিম (৩৫), চৌরাপাড়া এলাকার মহারাজ মিয়ার ছেলে রাজিব (৩৫), তিনগাঁ এলাকার আওলাদ মিয়ার ছেলে আরিফ (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত ৩ জনকে ১দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ভুক্তভোগী মিতুর স্বামী রবিনকে গত ৯ আগস্ট সুদূর মানিকগঞ্জ জেলার সিবালয় থানার একটি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। তার তথ্যমতে নবীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্যারেজ মালিক আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।