সোমবারই ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের করেছেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের রহিম উদ্দিন, আব্দুল হেকিম, আবু বকর সিদ্দিক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জহিরুল হক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কানিজ ফাতেমা, কবির হোসেন, মিজানুর রহমান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের এস এম আসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নবাব আলী, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুমনুর রহমান, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জমশের আলী ঝন্টু (বর্তমান কাউন্সিলর), ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের রবিউল হোসেন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তাহের উদ্দিন আহমেদ সানি, ফারহানা করিম, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজিবুল হাসান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের লিটন মিয়া, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোসা. নুরজাহান। এছাড়া ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী সুরাইয়া ভূঁইয়াও তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।
বর্তমান কাউন্সিলর ওমর ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমানের ভাই মাহমুদুর রহমান, হাজী মো. আনোয়ার ইসলাম, মো. আবদুর রহিম, মো. জাহিদুল ইসলাম, হাজী আব্দুল মালিক, মো. মাহাবুব আলম।
বর্তমান কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, সামসুল আলম, মো. কামাল হোসেন, মো. ইসমাইল, মো. আমিনুল হক ভুঁইয়া, সোহরাব হোসেন, সুলতান গিয়াস উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর মো. শাহ্জালাল বাদল, এ আর ফররুখ আহমাদ, চাঁদনী আক্তার জ্যোতি, আলমগীর, ইরান, তোফায়েল হোসেন। বর্তমান কাউন্সিলর শাহ্জালাল বাদল সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের ভাতিজা।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, নুর উদ্দিন মিয়া, নজরুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন। এই ওয়ার্ডেরও বর্তমান কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান সাত খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তার পিতা কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের নেতা।৫ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল, জাহাঙ্গীর আলম, কুতুব উদ্দিন, ইসমাইল, আনিসুর রহমান। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর সাদরিল সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, মজিবুর রহমান ম-ল, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, রোকেয়া রহমান, আল মামুনুর রশীদ। এই ওয়ার্ডে বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার সম্ভবনা রয়েছে।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে
সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ ফজলুল হক জুয়েল, সালাউদ্দিন, মহসীন শেখ, মেহেদী হাসান, সবুজ শেখ, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, আলাউদ্দিন ভুঁইয়া, তানজীম কবির সজীব, তৌহিদ কবির, নুরুল আমিন দুলাল, মোহাম্মদ মুশফিকুর, সানোয়ার হোসেন। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী হোসেন আলা কিছুদিন পূর্বে মারা গেছেন।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন, মহসিন ভুঁইয়া, সোহেল রানা, মেহেবুব হাসান ফারুকী, সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ, তারক নাথ সাহা, যুবদল নেতা সাগর প্রধান, দেলোয়ার হোসেন খোকন। এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর রুহুল আমিনের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে মহসিন ভুঁইয়া তার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।
৯ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর ইস্রাফিল প্রধান, রোকশত আলী, মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, মো. রোকশত আলী, বিল্লাল হোসেন। বর্তমান কাউন্সিলর ইসরাফিল প্রধান বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে গত সংসদ নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি।
শহর অঞ্চল: ১০ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, মোহাম্মদ লিয়াকত আলী, সিরাজ খান। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মহসীন উল্লাহ, সাইফুল হাসান, অহিদুল ইসলাম (ছক্কু), সেলিম আহমেদ হেনা, আনোয়ার হোসেন মুক্তি, শাহাদাত হোসেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ শওকত হাসেম শকু, নাইম হোসেন, সেলিম খান।
১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের
বর্তমান কাউন্সিলর দু জনেই বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তবে ১২ নম্বরের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু ওসমান পরিবারের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে চলেন।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর ও জাতীয় পার্টির নেতা শফি উদ্দিন প্রধান, সাবেক কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, আলিফ হাবিব, দিদার খন্দকার, মাসুম আহম্মেদ। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে হোসেন মো. রাসেল, অসিত বরণ বিশ্বাস, খোকন সাহা, জিএম আরমান, মাকসুদ হোসেন রকি। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও বাসদ নেতা অসিত বরণ বিশ্বাস গত দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডে
বিএনপি নেতা মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, সাইদুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর ওয়ায়দুল্লাহর ভাতিজা রিয়াদ হাসান, হোসিয়ারি সমিতির পরিচালক কবির হোসেন। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল এইবার নির্বাচনে অংশ নেননি। তিনি তার বন্ধু কবির হোসেনকে সমর্থন দিয়েছেন।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডে
মোস্তাক হোসেন, অলিউদ্দিন ভুঁইয়া, আব্দুল করিম বাবু, শেখ মোহাম্মদ হাছান আলী। এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু বিভিন্ন সময় বিতর্কিত হয়েছেন। পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ থাকাকালীন চাঁদাবাজির এক মামলায় গ্রেফতারও হয়েছিলেন এই কাউন্সিলর। তিনি এবারও প্রার্থী হয়েছেন।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডে
হান্নান মিয়া, মকছুদুর রহমান জাবেদ, বর্তমান কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসাইন, সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান মুন্না, খলিলুর রহমান, শাকিল হোসেন। এই ওয়ার্ডে বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভবনা রয়েছেন।কদমরসুল অঞ্চল: এই অঞ্চলের
১৯ নম্বর ওয়ার্ডে
আলমগীর হোসেন, বর্তমান কাউন্সিলর ফয়সাল মো. সাগর, মোখলেছুর রহমান চৌধুরী।
২০ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, জাহাঙ্গীর, শাহেনশাহ আহম্মেদ, সহিদুল হাসান মৃধা, হাছান মাসুম মিয়া।
২১ নম্বর ওয়ার্ডে
আজিজুল হক, নুর হোসেন, শাহীন মিয়া, বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা হান্নান সরকার, রমজান হোসেন।
২২ নম্বর ওয়ার্ডে
কাউন্সিলর প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা সুলতান আহম্মেদ ভুঁইয়া, যুবলীগ নেতা মাসুদ খাঁন ওরফে খান মাসুদ, কাজী জহিরুল ইসলাম, শাহ আলম, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান খাঁন (স্মৃতি), মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দস। এই ওয়ার্ডে মাসুদ খান ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাং এর শেল্টারদাতা হিসেবে নানা অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন বর্তমান কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূঁইয়া। তবে ইসরাত জাহান খাঁনও এই নির্বাচনে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছেন
।২৩ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা ও হান্নান। এই ওয়ার্ডে দুলাল প্রধান ও আবুল কাউছার আশার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভবনা রয়েছে। আবুল কাউছার আশার বাবা আবুল কালাম নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ। তিনি মহানগর বিএনপিরও সভাপতি। আশার দাদাও সংসদ সদস্য ছিলেন।
২৪ নম্বর ওয়ার্ডে
উজ্জল হোসেন, আমজাদ হোসেন, বর্তমান কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, আশ্রাফুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, মোহাম্মদ খোকন।
২৫ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, মোশারফ হোসেন, সাইদুর রহমান, সামছুল আলম, মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডে
আনোয়ার হোসেন, ইলিয়াস, বর্তমান কাউন্সিলর মো. সামসুজ্জোহা, মোজাম্মেল হক, মোহাম্মদ সুমন রহমান, আকতার হোসেন, আলী হোসেন।
২৭ নম্বর ওয়ার্ডে
ফারুক, মো. ফারুক, সিরাজুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান বাদল, আলমগীর মিয়া। এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল কয়েকমাস পূর্বে মারা গেছেন।সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী:
এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনে মোট ৩৬ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে যাচাই-বাছাইয়ে টিকেছেন বর্তমান কাউন্সিলর মাকসুদা মোজাফফর, জিয়াসমিন আক্তার জুথি, নাজমা বেগম, আশুরা বেগম, শামীম এঁরা লাভলী, চম্পা ভুঁইয়া। ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সুমি বেগম, ডলি আক্তার, বর্তমান কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম, জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা। ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মিতু রহমান, বর্তমান কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা, রেহানা পারভীন, তাসনুভা নওরীন ইসলাম, শারমিন শাকিল মেঘলা, জাহানারা হাকিম।
১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে নুপুর বেগম, বর্তমান কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম, মৌসুমি ভুঁইয়া।
১৩, ১৪ ও ১৫নম্বর ওয়ার্ড
জেলা নারী সংহতি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক পপি রানী সরকার, বর্তমান কাউন্সিলর শারমিন হাবীব বিন্নি। এই ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীই হেভিওয়েট। তবে গতবার অল্প ব্যবধানে পরাজিত হওয়া পপি রানী সরকারের নির্বাচনী মাঠে অবস্থান এবার ভালো রয়েছে।
১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্তমান কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ আফসানা আফরোজ বিভা হাসান, সানজিদা আহমেদ জুয়েলী, সাবেক কাউন্সিলর খোদেজা খানম নাসরীন। এই ওয়ার্ডে গত ৫ বছরে ব্যাপক কাজ করে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন বর্তমান কাউন্সিলর বিভা হাসান। তাকেই আবার চায় স্থানীয় এলাকাবাসী।
১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে
নুরুন্নাহার বেগম, মায়ানুর আহমেদ, শারমিন ইসলাম, বর্তমান কাউন্সিলর শিউলী নওশাদ। ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শাহনাজ আক্তার ভুঁইয়া, ডলি বেগম, বর্তমান কাউন্সিলর শাওন অংকন। ২৫, ২৬ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর হোসনে আরা, সানিয়া আক্তার, শাহী ইফাৎ জাহান।