এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) রান করার পণ করেই মাঠে নেমেছেন নাসির হোসেন। সদ্য ‘বিতর্কিত এক বিয়ে’ করে আলোচনায় আসা এই অলরাউন্ডার সেই পণ রক্ষায় রান করেই যাচ্ছেন।
আগের ম্যাচে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ১১৫ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছিলেন দলের বিপদের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে। এবার পেলেন হাফসেঞ্চুরি, সেটাও দলের দরকারের সময়। নাসিরের উইলো থেকে এবার এসেছে ৬৬ রানের ইনিংস।
তবে তার সতীর্থ আরিফুল হক পুড়েছেন সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে। মাত্র ৩ রানের জন্য তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। খুলনা বিভাগের ২২১ রানের জবাবে রংপুর প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ৩৬৪ রানে।
৩ উইকেটে ১০৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে রংপুর। তানভীর হায়দার ২৯ আর নাসির অপরাজিত ছিলেন ১৯ রানে। তানভীর আর বেশিদূর এগোতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৩১ রানে তিনি সাজঘরে ফিরলে ১০৬ রানে ৪ উইকেট হারায় রংপুর।
সেখান থেকে নাসির আর আরিফুলের প্রতিরোধ। ১১৬ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৬৬ রান করে রবিউল ইসলাম রবির বলে আউট হন নাসির। কিন্তু আরিফুল এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে।
দারুণ খেলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকা এই অলরাউন্ডার নার্ভাস নাইন্টিজে এসে মাসুম খানের বলে হয়েছেন এলবিডব্লিউ। ১৬৪ বলে ১১ বাউন্ডারিতে আরিফুল তখন ৯৭ রানে।
ডানহাতি পেসার মাসুম খান ৭৮ রানে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন আবদুল হালিম আর রবিউল ইসলাম রবি।
প্রথম ইনিসে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া খুলনা দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমেও খেয়েছে ধাক্কা। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে গোল্ডেন ডাকে ফিরেছেন রবিউল ইসলাম রবি। ১ উইকেটে ৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করবে খুলনা। এখনও তারা পিছিয়ে ১৩৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা বিভাগ প্রথম ইনিংস : ২২১/১০ (তুষার ইমরান ১১৬, নুরুল হাসান ৩১; মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৬/৬৪, আরিফুল হক ২/৫৪)
রংপুর প্রথম ইনিংস : ৩৬৪/১০ (আরিফুল হক ৯৭, নাসির হোসেন ৬৬, ধীমান ঘোষ ৪৩; মাসুম খান ৪/৭৮)
খুলনা দ্বিতীয় ইনিংস : ৪/১ (রবিউল ইসলাম রবি ০, অমিত মজুমদার ০*, ইমরুল কায়েস ৪*)