কোলের দুই শিশুসহ নিখোঁজ বোনের খোঁজ নিতে এসে দুইভাইকে নির্যাতন করে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে বোন জামাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। পরে ৯৯৯ কল পেয়ে দুইজনকে উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশ।
আহতরা হলেন- গাংনী উপজেলার জালশুকা গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে জহুরুল ইসলাম ও আব্দুর রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম। বর্তমানে তারা গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
রবিউল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন, তার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া বৈশাখী খাতুন ও শিশু রজণী খাতুন (৫) নিখোঁজ রয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে গরু ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম প্রায় ১২ বছর আগে জালশুকা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে রহিমা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে রহিমা খাতুনের ওপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে আসছেন স্বামী রবিউল ইসলাম। শুক্রবার সকালে রবিউল ইসলাম তার শ্বশুর বাড়ি জালশুকা গ্রামে স্ত্রীকে খুঁজতে যান। রহিমা ও দুই মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছি না। কথাগুলো বলেই তিনি নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে বেলা ১ টার দিকে আবারও শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীর খোঁজ করতে থাকেন রবিউল।
এঘটনায় জহুরুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম বোন ও কোলের দুই শিশুকে খুঁজতে স্বামী রবিউল ইসলামের বাড়িতে আসেন। এসময় রবিউল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন আশরাফুল ও জহুরুল ইসলামকে মারধর করে তাদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে।
পরে ভুক্তভোগীরা পুলিশের ৯৯৯ কল দিয়ে বিষয়টি জানালে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে উদ্ধার করেন। পরে তাদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক সীমা বিশ্বাস জানান, আহতদের শরীরে মারের দাগ রয়েছে। জহুরুল ইসলামের পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।