নরসিংদীর মনোহরদীতে নিজ ঘরে ঢুকে আনিকা (১৫) নামে এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ভাগনিকে বাঁচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন খালা পাপিয়া সুলতানা (৪৯)।
আনিকা বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের পোড়াদিয়া গ্রামের মৃত শাহজাদা নূর আলমের মেয়ে। সে মনোহরদী কৃষ্ণপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
খালা পাপিয়া সুলতানা মনোহরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও মৃত আবদুস ছাত্তারের স্ত্রী। তিনি আনিকার স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
স্থানীয়রা জানায়, পাপিয়া সুলতানার ছেলে আর মেয়ে কেউই বাড়িতে থাকেন না। ছেলে বিদেশে ও মেয়ে নরসিংদীতে পড়াশোনা করেন। তিনি তার বোনের মেয়ে আনিকাকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। সোমবার বিকেলে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় আনিকাকে মৃত ও খালা পাপিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করে। আনিকার মরদেহের সুরতাল করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তিুত নেওয়া হচ্ছে।
নিহতের খালু মিজানুর রহমান মিলন বলেন, খবর পেয়ে বাড়িতে এসে আনিকাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। আর পাপিয়াকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানতে পেরেছি। কি নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হলো। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান মাহমুদ বলেন, পাপিয়াকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথা ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল হোসেন বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করছি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।