নগর সংবাদ।।নারায়ণগঞ্জের পাইকারি চালের আড়ৎদার প্রতিষ্ঠানে চালের মূল্যবৃদ্ধি রোধে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (০১ জুন) বিকেলে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিপ্তি অদিতি ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় চাল আমদানি, বিক্রি মূল্য রশিদ ও মজুদের পরিমাণ মনিটরিং করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় পরশমনি রাইজ এজেন্সি, সবুজ ট্রেডিং, এ কে রাইস এজেন্সিসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তবে এই অভিযানে কোনো জরিমানা করা হয়নি।
নিতাইগঞ্জ এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, বর্তমানে যদিও ধানের মৌসুম চলছে তবে বন্যার অজুহাতে চাতাল মালিকরা গত কয়েক সপ্তাহে প্রতি বস্তায় চালের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বাড়িয়েছেন। প্রতিদিনই ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বাড়িয়ে দিচ্ছে তারা। আমরা চাহিদা মত সরবরাহ পাচ্ছি না। গত সপ্তাহের মধ্যে বস্তা প্রতি মোটা চালে ২০০ টাকা ও চিকন চালে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বন্যার অজুহাতে তারা ধান পাচ্ছেন না বলে এভাবে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমরা ব্যাংকে টাকা পাঠিয়েও ঠিকমত চাল পাচ্ছি না। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে আমরা পাইকারি বা খুচরা ব্যবসায়ীরা কোনভাবেই জড়িত না। আমরা যেমন দামে কিনি তেমন দামেই সীমিত মুনাফা করে বিক্রি করি।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিপ্তি অদিতি ইসলাম জানান, আমদানি মূল্যের সঙ্গে বিক্রয় মূল্য ও গুদামে মজুদের পরিমাণে গড়মিল না থাকায় তাদের জরিমানা না করে সতর্ক করা হয়। জেলা প্রশাসন থেকে আগেও তাদের সতর্ক করা হয়েছে। কেউ যেন অধিক মুনাফার আশায় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে জনগণকে ভোগান্তির মধ্যে না ফেলেন। ক্রয় মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে যেন বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেন সেই বিষয়ে এখানকার পাইকারদের সতর্ক করেছি। অভিযান অব্যাহত থাকবে।