নগর সংবাদ।।পঞ্চম ধাপে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আট ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ জানুয়ারি) এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্বাচনে জেতায় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের গলায় টাকার মালা পরানোর হিড়িক পড়েছে। একের পর এক প্রার্থীদের গলায় টাকার মালা পরিয়ে দিচ্ছেন সমর্থকরা। এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন অনেকে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মির্জাপুর উপজেলার আট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪০ জন, সাধারণ মেম্বার পদে ২৯৫ জন ও সংরক্ষিত নারী মেম্বার পদে ৮৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে তিনজন, বিদ্রোহী দুজন, বিএনপির দুজন ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। আর ৭২ জন মেম্বার ও ২৪ জন সংরক্ষিত নারী মেম্বার পদ নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে জেতার পর প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বিজয় মিছিল বের হচ্ছে। পছন্দের প্রার্থী জেতায় বেজায় খুশি কর্মী-সমর্থকরাও। আর তাদের আবেগ-অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বিজয়ী চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের গলায় টাকা ও ফুলের মালা পরিয়ে। বেশ কিছু পাড়া-মহল্লায় এ দৃশ্য দেখা গেছে।
তবে এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকের বিষয়টির সমালোচনা করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, এটা গ্রামের ঐতিহ্য।
গেড়ামাড়া গোহাইলবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, ভোট দান একটি গোপন প্রক্রিয়া। নির্বাচনের আগে ও পরে এর গোপনীয়তা রক্ষা করা দরকার। নির্বাচিত প্রার্থীকে উপহার বা মাল্যদান করলে গোপনীয়তা প্রকাশ পায়। এতে পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান বলেন, টাকা রাষ্ট্রীয় সম্পদ। পণ্য বিনিময়ের জন্য টাকা ব্যবহার করা হয়। মালা বানাতে ফুলসহ বিভিন্ন সামগ্রী রয়েছে। যা দিয়ে বিজয় উৎসব করা যেতে পারে। টাকা দিয়ে মালা বানানো অনৈতিক।
এ বিষয়ে গোড়াই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার আদিল খান বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন। বিজয়ী হওয়ার পর জনগণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে ভালোবাসার টানে অনেকেই গলায় টাকার মালা পরিয়ে দিচ্ছেন। নিষেধ করতে পারিনি।