পরীক্ষিত ছাত্রনেতা ছাত্রদলের দুর্দিনের কান্ডারী, নির্যাতিত নেতা ছাত্রদলের ঐক্যের প্রতীক মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর। আওয়ামী শাসনামলে ছাত্রদলের মিটিং মিছিলে যার ভুমিকা ছিলো অগ্রগন্য। এছাড়াও হারানো ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বৈরশাসন থেকে দেশ মুক্ত আন্দোলনে রাজপথে নির্যাতন, হামলা, মামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। তার হাত ধরেই মহানগর ছাত্রদল সকল প্রকার দলীয় কর্মকান্ড, আন্দোলন সংগ্রামে রয়েছে সরব ও চলমান। শহীদ জিয়ার আদর্শের একজন দক্ষ, কর্মীবান্ধব ও নির্বীক সৈনিক হয়ে ছাত্রদলকে সুগংগঠিত করতে নিরলসভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে চলেছেন সাগর। তিনি কোন দিন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। বিএনপি রাজনীতি ও শহীদ জিয়ার আদর্শ যার রক্তের প্রতিটি শিরায় বহমান।তার বাবাও ছিলেন বিএনপির অকুতোভয় সৈনিক, জনপ্রিয় নেতা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মরহুম আবুল কাশেম সাহেব। যিনি ছিলেন বিএনপির অগ্রজ সৈনিক।
যাকে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা যায়নি। কোনা উপায়ন্তার না পেয়ে অবশেষে তাকে প্রতিহত করতে ২০০৪ সালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্মম ভাবে গুলি করে হত্যা করা করেছিলো। সেই বাবার স্মৃতি ও শোককে বুকে আকড়ে ধরেই রাজপথে সংগ্রাম করছেন সাগর। শুধু বাবা নয় মা রেজিয়া বেগমও ছিলেন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক। মূলত পরিবার থেকেই মূলধারার নেতৃত্ব অর্জন করেন সাগর। কোনো বাধাই তাকে পিছু হঠতে দেয়নি। সম্প্রতি ১৭ বছরেরর আওয়ামী স্বৈর শাসন হাসিনা সরকারের পতন পর বিএনপি লেবাসধারী বিধংসী আওয়ামী নেতাদের অনৈতিক ও অপরাধ কর্মকান্ড প্রতিহত গিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার শিকার হন সাগর। তবুও তিনি দমে যাননি। দলকে সুসংগঠত ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন সাগর।জানাগেছে, ২০১৪ সালে হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সদস্য, ২০১৮ সাথে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন, ২০২০ সালে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহবায়কের দায়িত্ব পান, তার সুনিপুণ নেতৃত্বের দক্ষতায় তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলকে শক্তিশালী ছাত্রদল ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলেন। তার নেতৃত্বের গুণাবলীতে দেশনায়ক তারেক রহমান ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ সন্তুষ্ট হয়ে ২০২৩ সালে তাকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন, সেই থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদল কে একটি সুসংগঠিত শক্তিশালী ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলেন রাকিবুর রহমান সাগর। ২০২৩ সালেই তার কর্মকাণ্ডে খুশি হয়ে তাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনিত হরা হয়।নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের ইতিহাস কারো অজানা নয়। দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপির নেতা কর্মীরা আওয়ামী সন্ত্রাস ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে অনেক সং.গ্রাম করে টিকে থাকতে হয়েছে। তবে সব জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জ এর পরিস্থিতি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ ও আলাদা। কারন, ফ্যাসিবাদী হাসিনার আলোচিত গডফাদার শামীম ওসমান এই জেলা নিয়ন্ত্রণ করতেন। অথচ এই পাহাড়সম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপ দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে সামলে নিয়ে তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন একজন দক্ষ সংগঠক, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদী আমলের শেষ ৯ বছর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ ও শামীম ওসমানের মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। যিনি দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে হয়েছেন ২৩ টি মামলার আসামি হয়েছেন। আওয়ামীলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছে তার পরিবার। তাদের জায়গা জমি সম্পদ দখল করে নিয়েছিলো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এদিকে আওয়ামী শাসনের অবসানে পরও এখনো থেমে নেই শামীম ওসমানের দোসরা। তারা ভোল পাল্টিয়ে বিএনপির ছায়াতলে ঠাই নিয়ে সাগরকে দমিয়ে রাখতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যদিও সাগর বলছেন, কোনো যড়যন্ত্রই তাকে দমিয়ে রাখতে রাখতে পারবেনা। শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে দলের স্বার্থে আন্দোল সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন। সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তারেক রহমানের নির্দেশে শেষ অবধি শত শত কর্মী নিয়ে রাজপথে আছেন তিনি। ২৮ অক্টোবরে ঢাকার রাজপথে হয়েছিলেন গুলিবিদ্ধ, কপালে, পিঠে ও চোয়ালে গুলি লেগেছিলো। একটুর জন্য তার চোখ রক্ষা পেয়েছিলো, নয়তো তাকে আজ অন্ধত্ব বরন করতে হতো। সেই অসুস্থ অবস্থায় ও ছিলেন রাজপথে সরব। স্বৈরাচার পতনের পর কর্মীদের ও জনতার উদ্দেশ্যে তার প্রথম ঘোষণা ছিলো- ”আসুন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ি। ভুমিদস্যু, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী যে দলের বা যে পরিচয়েরই হোক না কেন তাদের সাথে কোন আপোষ নয়। এরা দেশ তথা সমাজের জন্য ক্ষতিকর ভাইরাস, তাদেরকে ধরে আইনের হাতে সোপর্দ করুন। তারেক রহমানের নির্দেশে সাধারণ জনগন ও ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে যে কোন অন্যায় অপশক্তি রুখে দিতে মহানগর ছাত্রদল প্রস্তুত আছে ও ভবিষ্যতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।ফ্যাসিস্ট বিদায় হয়েছে তবে সংগ্রাম আমাদের শেষ হয়নি। তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা হাজার হাজার কর্মী ভুমিদস্যু, চাঁদাবাজ, মাদক, সন্ত্রাস, দেশ বিরোধী চক্রান্তের বিরুদ্ধে মাঠ আছি, থাকবো।