মোঃ মাসুদ রানা, স্টাফ রিপোর্টার।। নীলফামারীতে জামায়াত -শিবিরের তান্ডবে দেড় বছর ধরে ঘর ছাড়া ২১ পরিবার। এসব পরিবার বসবাস করছে বাঁশঝার আর জঙ্গলে। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা পরিবারগুলো দাড়ে দাড়ে ঘুরছে বিচারের জন্য। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ১১নং সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর মুসরত কুখাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করে ওই ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানান, একই এলাকার জামায়াত শিবির ছলিমুদ্দিনের ছেলে মোস্তফা কামাল, মোঃ শাকু মামুদের ছেলে কাওছার, মহদ্দি মামুদের ছেলে আবুল হোসেন ও মৃতঃ উমর উল্লাহ ছেলে সোরাদ্দি মামুদসহ অনেকে তাদের অত্যাচারে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ২১টি পরিবারের মানুষ বাঁশঝার আর জঙ্গলে। এসব পরিরারের মানুষজনকে দেখলে হাত-পা ভেঙে ও হত্যার হুমকি দেয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। অনেকের পায়ের রক কেটে দিয়েছে তারা। ভয়ে রাতের অন্ধকারে এসব পরিবারের মানুষগুলো বাঁশঝাড়, জঙ্গল, স্কুল, মাদরাসার বারান্দায় কাটাচ্ছে রাত। এদিকে বাড়িতে কোন মানুষ না থাকার সুযোগে ঘরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায় তারা। তারা জানান, পরিবারগুলো পালিয়ে থাকার কারণে তাদের ছেলে-মেয়ে ওই জামায়াত শিবিরের ভয়ে স্কুল- কলেজ, মাদরাসাতে যেতে পারছেনা। তারা বলেন, গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে সমর্থন না করায় প্রতিনিয়ত এই হামলার শিকার হচ্ছেন তারা। এরই জের ধরে গত কয়েক মাস আগে নীলফামারীর রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা আপোষ মিমাংসা করে দিলেও কাটাকাটি, হানাহানি ও রক্তক্ষয়ী নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে জামায়াত-শিবিরের ওই নেতাকর্মীরা। এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি চান সুষ্ঠু বিচার।